পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२8 জিজ্ঞাসা ভরসা করি এখনও কোন সংস্কারক উপস্থিত হইয়া মনুষ্যজাতিকে সমস্ত কলকারখানা এঞ্জিন বন্ধ করিতে উপদেশ দিবেন ; রাত্রিতে অন্ধকারে কারবার করিতে বলিবেন, এবং রন্ধনাৰ্থ ব্যবহৃত চুল্লীর ও উনান গুলির অপকারিতা বুঝাইয়া দিয়া মনুষ্যজাতিকে সত্যযুগোচিত আমান্ন ভোজনে প্রবৃত্তি দিবেন। এইরূপ করিলে অন্ততঃ শেষের সেদিন কিছুকাল বিলম্বিত হইতে পরিবেক । বিলম্বিত হইতে পরিবে বটে, কিন্তু ঐ পর্য্যন্ত । প্রকৃতি সৰ্ব্বদা বিলাসী ধনিসন্তানের মত সঞ্চিত শক্তি-সম্পত্তি দুই হাতে অজস্র অপব্যয় ও অপচয় করিতেছেন, তাহ! নিবারণের কোন উপায় দেখা বায় না। প্রকৃতিকে এই অপব্যয়ে ক্ষাস্ত হইতে উপদেশ দিবে, এমন লোক কোথায় ? মনুষ্যের পক্ষে ইহার প্রতিবিধান আপাততঃ অসাধ্য । মনুষ্যের পক্ষে অসাধা, কিন্তু মাক্সওয়েলের কল্পিত ভূতের অসাধ্য নহে। যদি আমরা কোনরূপে সেই পিশাচটিকে কোনরূপে সর্ষপাদি প্রয়োগে বশীভূত করিয়া লষ্টতে পারি, তাহা হইলে বিশ্বৰ্যন্ত্রটা আরও কিছুদিন টিকিলেও টিকিতে পারে ; এমন কি ব্ৰহ্মাণ্ডের বিধাতাও হয়ত যডুনিৰ্ম্মিত যন্ত্রটিকে অকালে অচল হইতে দেখার যাতনা হইতে অব্যাহতি পাইতে পারেন । সেই ভূতের সম্পাদ্য কাৰ্য্যটা এইরূপ। জগতের বর্তমান বিধান এই যে খানিক গরম জল ও খানিকটা ঠাণ্ডা জল একত্র মিশাইলে দুষ্ট সমান গরম হইয়া পড়ে ; গরম জলট একটু ঠাও হয়, ঠাণ্ড জলট একটু গরম হয়। ইহাই প্রাকৃতিক নিয়ম। জগৎটাকে উপস্থিত মহাপ্ৰলয় হইতে রক্ষা করিতে হইলে ঠিক ইহার বিপরীত কার্য্যের দরকার। খানিকট না-গরম না-ঠাগু “নাতিশীতোষ্ণ” জল একটা পাত্রে রাখিলাম ; একটু পরে গিয়া যেন দেখিতে পাই পাত্রের অৰ্দ্ধেক জল