পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতীত্যসমুৎপাদ ২৩৩ যখন তাহার ছুরিকা প্রয়োগে আমার অঙ্গুলি কয়টিকে কাটিয়া লয়েন, তখন সে কেশ, সে অঙ্গুলি আর আমার থাকে না । তাহীদের প্রতি তখন যতই মমতার সহিত চাহিয়া দেখি না কেন, তাহারা জার অামার নয় । এমন কি, আমি যখন পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবয়বকে আর সঞ্চালন করিতে পারি না, তখন সেই অবয়ব সম্পূর্ণ ভাবে আমার থাকে না । সেইরূপ সংস্কারগুলি আমার অন্তঃশরীরের অঙ্গস্বরূপ হইলেও, তাহার যতক্ষণ যথাস্থানে বিদ্যস্ত ও আপন আপন কার্য্যে নিয়োজিত না হয়, ততক্ষণ তাহারা আমার হয় না । এই বিদ্যাসের, সন্নিবেশের ও যথাবিহিত কার্য্যে বিনিয়োগের ভার যা হার উপর, তাহারই নাম বিজ্ঞান । সাপ দেখিলাম ও সাপের ছো শব্দ শুনিলাম, এই দুই অসম্বদ্ধ প্রত্যয় মাত্রে আমার সর্পবুদ্ধি জন্মে না । এই রূপের সহিত এই শব্দের সম্বন্ধ স্থাপিত হওয়া আবশুক ; পূৰ্ব্বদৃষ্ট তাদৃশ রূপের ও পূৰ্ব্বশ্ৰুত তাদৃশ শব্দের স্মৃতি তাহার সহিত যুক্ত হইলে তবে সর্পবুদ্ধির উদ্বোধন হইবে। তবে আমি জানিব যে আমি একটা সাপ দেখিতেছি। এই সৰ্পদর্শন-রূপ ব্যাপারের অঘটন-ঘটন-পটীয়ান কৰ্ত্তার নাম বিজ্ঞান । ৪ । নামরূপ—এই পারিভাষিক শব্দটির একটু বিস্তৃত ব্যাখ্যা আবশুক । আমরা সচরাচর জগৎকে দুষ্টট ভাগে বিভক্ত করিয়া দেখি, একটার নাম বাহাজগৎ, আর একটা অন্তর্জগৎ । আমার জড় শরীরটা আমার অস্তঃশরীরের বাহিরে ; প্রকৃত পক্ষে ইহা বাহা জগতের অন্তর্গত । সমগ্র জগতের দুই ভাগ,—চলিত ভাষায় একটাকে মনোজগৎ, একটাকে জড়জগৎ বললে অধিক দোষ হয় না। এই দুইটা জগৎ আমার প্রত্যক্ষ বিষয় ; ইহাদিগকে লইয়াই আমার কারবার ; এই দুইকে ছাড়িয়া আর তৃতীয় জগৎ নাই । বৌদ্ধদৰ্শনের ভাষায় বলিতে গৈলেও সমগ্র জগতের দুই ভাগ ; একটা ‘নাম’— স্থল কথায় অন্তর্জগৎ বা মনােৰা; ; আর একটা ‘রূপ’—স্থল কথায়