পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিজ্ঞাসা ט\כי আন্দোলন কল্পনা করিয়া সেই আন্দোলনকে অনুভূতির কারণ বলিয়া নির্দেশ করি । বাহাজগৎকে আমি স্পর্শ করিতে পারি না ; আমার কল্পিত মস্তিষ্কমাত্র কল্পিতল্পায়ুস্থত্ৰযোগে কল্পিত বাহাজগৎকে স্পর্শ করে ; অথচ বাহাজগতের স্বতন্ত্র নিরপেক্ষ অস্তিত্ব স্বীকার করি ; ব্যাখ্যার আবশ্রাকত, তাই সঙ্কেত থিওরি দিয়া একটা ব্যাখ্যা গড়িয়া লই । আমার মস্তিষ্ক আমার অংশ নহে ; সেটা ভৌতিক প্রত্যক্ষ বিষয়, আমার চৈতন্তের বাহির ; সুতরাং উহা বহিঃস্থ আমা-ছাড়া জগতের অন্তভুক্ত। মস্তিষ্কের আন্দোলনে কিরূপে অনুভূতি বা চৈতন্ত জন্মে, তাহার ব্যাখ্যা নাই । শর্করায় পরমাণুসমাবেশের ব্যতিক্রমে মাদকতা ধৰ্ম্ম জন্মে ; সেইরূপ জীবশরীরে পরমাণুসমাবেশের ব্যতিক্রমে চৈতন্ত ধৰ্ম্ম জন্মে ; এইরূপ যে একটা ব্যাখ্যা আছে, তাহ অশ্রদ্ধেয় । শর্কর ও শর্করার ধৰ্ম্ম উভয়ই আমা-ছাড়া, সুতরাং এক হিসাবে সজাতীয় । আমার মস্তিষ্ক আমার বাহিরে ; কিন্তু আমার অনুভব, আমার চৈতন্ত, আমার মধ্যে ; সুতরাং এই হিসাবে বিজাতীয় । কাজেই এ যুক্তি টিকে না ; একের সহিত অন্তের তুলনা হয় না । বাহা জগৎ একটা বিশাল স্বপ্ন, এবং মানুষমাত্রেই এক একটি সনাতন আফিমখোর, এইরূপ সিদ্ধান্ত আসিয়া পড়ে । কথাটা শুনিতে ভাল লাগে না ; কিন্তু ইহার বিরুদ্ধে যে সকল যুক্তি প্ৰযুক্ত হয়, তাহার সারবত্তা ভাল বুঝা যায় না। আমি যদি বলি, জগৎ স্বপ্নমাত্র, তাহা হইলে আমার কথাটা কেহ উলটাইতে পারে ন! স্বপ্ন কতকগুলি অনুভূতির সমবায় ও পরম্পরা মাত্র ; জগৎও তেমনি কতকগুলি অনুভূতির সমবায় ও পরম্পর ব্যতীত আর কিছুই নহে। উভয়ে প্রকৃতিগত কোনও তফাত দেখি না । আমি উভয়ত্রই বর্তমান ; বহি জগৎ,—আমার বাহিরে আমার চৈতন্তের বিষয়ীভূত একুটা কিছু, উভয়ত্র বৰ্ত্তমান । তবে স্বপ্নটা অলীক আর জগৎব্যাপারটা প্রকৃত কিসে