পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪ ৬ : জিজ্ঞাসা অন্তর্জগৎও ঠিক সেইরূপ । উভয়ই ক্ষণিক জ্ঞানের পরম্পরামাত্র । আর সেই পরম্পরামধ্যে একটি জ্ঞানের সহিত তৎপরবর্তী জ্ঞানের কোন সম্পর্কই নাই । বৌদ্ধ অনিৰ্ব্বাচ্য কি-একটা-কিছু স্বীকার করিতে একবারে নারাজ ; এ কালের যে সকল দার্শনিক sensationalist বা - প্রত্যয়বাদী ও phenomenalist বা প্রপঞ্চবাদী বলিয়া অভিহিত হন, বৌদ্ধ তাঙ্গদের অগ্রগামী । 4. _ বাহ ও আন্তর জগৎ যদি কেবল ক্ষণিক জ্ঞানের পরম্পরামাত্র বা সমষ্টিমাত্র হয়, যদি সেই সকল ক্ষণস্থায়ী জ্ঞানের মধ্যে পরস্পর কোন সম্পর্ক না থাকে, তবে সেই সকল ক্ষণিক জ্ঞানের মধ্যে পরস্পর সম্বন্ধ দেখি কেন ? জ্ঞান গুলা যে অন্তোন্ত সম্বন্ধে বিজড়িত, তাহ অস্বীকারের উপায় নাই ; কেন না প্রাকৃতিক নিয়ম ন মানিলে জীবন চলে না । তাহদের ঐ সম্বন্ধ কোথা হইতে আসে ? আর আমি ঐ সকল জ্ঞান উপলব্ধি করিতেছি, ঐ সকল জ্ঞান আমার জ্ঞান, BBB BBS BBBB BBBSSS BSBB BBBS BB BBBB B BBB কেন ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়া বেদান্ত একট। অনিৰ্ব্বাচ্য কোনকিছুর অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন । উহা অনিৰ্ব্বাচ্য বটে, কি অমুভবের অগম্য নহে । বেদ!স্তের নিকট উহার মত স্বতঃf a পদার্থ আর কিছুই নাই—উহার নাম আত্মা ; এই আত্মাই একমাত্র চেতন পদার্থ ; আর অন্তর্জগতে বা বহির্জগতে যাহা কিছু আছে, যাহা কিছু আত্মার সমীপে জ্ঞানগম্য বুলিয়া পকাশ পায়, যাহা কিছু জ্ঞানের বিষয় হয়, তাহা অচেতন জড় । জ্ঞান গুলির মধ্যে যে সম্বন্ধ দেখা যায়, বেদাস্ত বলেন, উহা আত্মারই মায়া । মায়া শব্দটার অর্থ লইয়া গোল উঠিতে পারে ; তাত্মার স্বভাব বলিলে কতকটা সরল ইয়। বাহজগৎকে কেন এমন দেখায়, অস্তজগৎকে কেন এমন দেখায়, তাহার উত্তর—