পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি ২৫৭ ব। নুতন লোকে বিচরণ করিতে হয় । ইহার নাম সংসার। নরদেহপরিত্যাগের পর মনুষ্য দেবদেহ ধারণ করিতে পারে, ইহা অসম্ভব নহে । ভুলোক ত্যাগ করিয়া সে কিছুদিন স্বলোকে বিচরণ করিতে পারে, তাহাও অসম্ভব নহে। কিন্তু এই দেবদেহ প্রাপ্তি বা স্বর্গপ্রাপ্তি মুক্তি নহে । সেখানেও কৰ্ম্ম আছে ও কৰ্ম্মপাশের বন্ধন আছে । সে বন্ধন হয় ত সোণার শিকলে বন্ধন ; আর নরদেহের বন্ধন লোহার শিকলে বন্ধন । কিন্তু উভয়ই বন্ধনদশা । স্বর্গপ্রাপ্তিকে মুক্তি বলে না। সৎকৰ্ম্মফলে স্বৰ্গপ্রাপ্তির ও ফলভোগাবসানের পর তাৎকালিক কৰ্ম্মফলে আবার লোকাস্তরপ্রাপ্তি ঘটিবে । কাজেই সংসার হইতে মুক্তি ঘটিল না। সৎকৰ্ম্মষ্ট কর, আর অসৎকৰ্ম্মই কর, সংসারচক্রে পরিভ্রমণ করিতেই হইবে ; অনুষ্ঠিত কৰ্ম্মের ফল ভোগ করিতেই হইবে । কোন দয়ালু পরিত্রাত এই সংসারচক্র হইতে উদ্ধার করিতে সমর্থ হইবেন না । ংসার হইতে অব্যাহতির উপায় নাই । তবে এক উপায় আছে । এই সংসার বস্তুতঃ অবিদ্যা হইতে উৎপন্ন ভ্রান্ত জ্ঞানমাত্র, ইহা জানিলেই সকল দুঃখ দূর হইতে পারে । নিৰ্ব্বাণ লাভের বা দুঃখবিমুক্তির এই একমাত্র পন্থা এবং ইহা জ্ঞানের পন্থা । এই জ্ঞানমার্গ ভগবান তথাগত আবিষ্কৃত করিয়াছিলেন । বৌদ্ধ শাস্ত্রের ভাষায়, এই লোক এতকাল ধরিয়া তমঃস্কন্ধাবগুষ্ঠিত হইয়া প্রসুপ্ত অবস্থায় ছিল ; ভগবান প্রজ্ঞাপ্রদীপ জালিয় তাহাকে প্ৰবোধিত করিলেন। মনুষ্য যে দেহ ধারণ করিয়া জন্মমৃত্যুর অধীন হয়, পুনঃপুনঃ কৰ্ম্মবশে বিবিধ দেহ ধারণ করিয়া বিবিধ লোকে বিচরণ করিয়া সুখদুঃখ ভোগ করে, ইহার মূল অবিদ্যা অর্থাৎ অজ্ঞান। যে প্রণালীদ্বারা বা প্রক্রিয়াস্বারা বা ধারাক্রমে অবিদ্যা হইতে এই সংসারের উৎপত্তি হয়, তাহার নাম প্রতীত্যসমুৎপাদ । স্থলস্তিরে প্রতীত্যসমুৎপাদ্রের ধ্যাখ্যার চেষ্টা করা গিয়াছে। ফল কথা, যাহা কিছু পরিদৃশুমান বা » ፃ