পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি SS)Q প্রার্থনা করেন ; সাযুজ্য সম্বন্ধে ভয়ে ভয়ে কথা কহেন ; আর নির্বাণমুক্তির নাম শুনিলেই তাহারা চমকিয় উঠেন । মুক্তি, যাহার বেদাস্তসম্মত পন্থ জীবব্রহ্মের একতানিরূপণ, তাহ আধুনিক ভক্ত বা প্রেমিক উপাসকের শিরঃপীড়াজনক । মায়ের ছেলে রামপ্রসাদ চিনি খেতে ভাল বাসিতেন, চিনি হতে চাহিতেন না । বৈষ্ণব আচাৰ্য্যগণের অনেকে দম্ভের সহিত তাদৃশ উক্তির সমর্থন করিয়াছেন। এ বিষয়ে খ্ৰীষ্টানের সহিত আধুনিক দ্বৈতবাদী হিন্দুর বড় পার্থক্য নাই । বৌদ্ধ প্রতিঘাতে যখন সনাতন ধৰ্ম্মের তরীণখনি বিপ্লুত হইয়া যাইবার উপক্রম হইয়াছিল, সেই সময়ে ভগবান শঙ্করাচার্য্যের জন্ম হয় । তিনি অগাধ বিদ্যা বলে ও অগাধ ধীশক্তি বলে বেদাস্তপ্রতিপাদ্য মুক্তিতত্ত্বের পুনঃপ্রচার করেন। তৎকালে বৌদ্ধ, জৈন, পাঞ্চরাত্র, পাশুপত, নগ্ন ক্ষপণক, কাপালিক প্রভৃতি বিবিধ সদাচারভ্রষ্ট বেদমাৰ্গচ্যুত সম্প্রদায়ের পরস্পর বিবাদকোলাহলে ভারতবর্ষের আর্যসমাজ “কাকসমাকুল বটবৃক্ষের হায়” মুখরিত হইয়া উঠিয়াছিল। শঙ্করাচার্য্য এই সকল সম্প্রদায়ভূক্ত আচাৰ্য্যগণের সহিত জীবনব্যাপী বিচারসমরে প্রবৃত্ত হইয়া শ্ৰুতিসম্মত মুক্তিতত্ত্বের উদ্ধার করেন। তৎকর্তৃক প্রতিষ্ঠাপিত মুক্তিতত্ত্বের নামাস্তুর অদ্বয়বাদ । - এইখানে বলা উচিত শঙ্করাচার্য্য কৃত বেদান্ত-ব্যাখ্যা সকল আচার্য্য গ্রহণ করেন নাই । তাহারা অন্তরূপে বেদাস্ত শাস্ত্রের ব্যাখ! করিয়াছেন । উপনিষদের ভাষা অতি প্রাচীন ভাষা ; সৰ্ব্বস্থানে উহার অর্থবোধ স্বকর নহে । আবার ঐ ভাষা অনেক স্থলে কবিতার ভাষা, কোথাও বা হেঁয়ালির ভাষা । কাজেই বেদাস্তদ্রষ্টা ঋষিগণের প্রকৃত অভিপ্রায় কি ছিল, সে বিষয়ে মতদ্বৈধ নিবারণের উপায় নাই । অধুনাতন কালে প্রাচীন ভাষায় ননি। অর্থ আবিষ্কার করা চলিতে পারে । ঘটয়াছেও তাহাই । আচাৰ্য্যগণের মধ্যে যিনি যে মতের পক্ষপাতী, তিনি শ্রুতি