পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি NIස I নিত্য ੇ শুদ্ধ বুদ্ধ—স্বয়ংপ্রকাশ চেতনাস্বরূপ আমি এইখান হষ্টতে সমস্ত দেখিতেছি ; সমগ্র অতীতের আমি সাক্ষী—আমি বিষয়ী—আমি আত্মা—আমি পরমাত্মা—আমি ব্রহ্ম | অহং ব্রহ্মাস্মি । এখন বেদাস্তের অভিপ্রায় অনেকটা স্পষ্ট হইয়া আসিল । জড়জগৎ ত বিষয়,—উহা অধ্যাস—উহা মায়া । কাহার মায়া ? উত্তর, অীমার মায় । আমার অস্তিত্ব আমি যত সহজে মানিব, জড়জগতের অস্তিত্ব তত সহজে মানিব না । কিন্তু সেই আমিই বা কিং-স্বরূপ ? বেদান্ত বলেন আমারও দুই মূৰ্ত্তি—আমিও একাধারে বিষয়ী ও বিষয় । আমি আমাকেই দেখি। যে দেখে সে বিষয়ী যাহাকে দেখে সে বিষয় । যে বিষয়ী তাহার নাম দা ও পরমাত্মা বা ব্রহ্ম, যে বিযয়, তাহার নাম দাও জীবাত্মা বা জীব। জীবাত্মা নিত্য বিকারশীল, জড়জগতের অধীনতায় উহাতে কেবলই বিকার ঘটিতেছে। পরমাত্মা নিৰ্ব্বিকার, সে জীবাত্মাকে সম্মুথে রাখিয়া তাহার এই বিকারপরম্পরা উদাসীন ভাবে দেখিতেছে । অতএব দুই ভিন্ন বণিয়াই আপাততঃ বোধ হয় । অথচ দুই অভিন্ন। দুই আমিই এক আমি। আমি আমাকে দেখি, এ স্থলে যে কৰ্ত্তা, সেই কৰ্ম্ম । আমি আমাকেই দেখি— অস্ত কাহাকেও দেখি না । আমি যখন সুখী হই, তখন আমি আমাকেই সুখী মনে করি, স্তকে সুখী মনে করি না । ইহা অতি সহজ কথা । দ্রষ্ট। আমি \ দৃপ্ত আমি, জ্ঞাত আমি ও জ্ঞেয় আমি, ব্ৰহ্ম ও জীব, উভয়ই, এক্ট, সৰ্ব্বতোভাবে এক । ইহাই জীবব্রহ্মের অভেদবাদ । ইহাই অদ্বয়বাদ । অদ্বয়বাদ আর কিছুই নহে । ইহাতে রাগ করিবার किङ्कहे नांझे । বৰ্ত্তমান পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের মধ্যে উইলিয়ম জেমসের নাম খ্যাতি লাভ করিতে চলিয়াছে। ইনি এই বিষয়ের আলোচনা করিতে গিয়া যাহা বলিয়াছেন, তাহ উদ্ধৃত করিব । আশা করি, বেদান্তের م.