পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( t ) কুইবেল তদানীন্তন বিজ্ঞানের মুখপাত্রস্বরূপ হইয়া বলিয়াছিলেন , ভয় নাই। পঞ্চাশ বৎসর পরে পণ্ডিতমণ্ডলী এক রকম একবাক্যে বলিতেছেন, ভরসা ও নাই”—এ কথা পড়িয়া আমাদেরও কেমন এক আতঙ্ক আইসে, শরীর শিহরিয়া উঠে, হৃদয় মন শুকাইয়া যায়। আমদের মনে হয় যে, তবে কেন বৃথা এত অধ্যয়ন অধ্যাপন, বুথ অর্থচেষ্ট৷ এবং বৃথায় এত স্বাৰ্থত্যাগ। রামেন্দ্র বাবুও পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকদিগের প্তায় যেন এক প্রকার ছায়াময় আবরণের মধ্য দিয়া চলিয়াছেন— তাহার অধিকাংশ প্রবন্ধে যেন কি একটা “ভরসা নাই” এর ভাষ, স্বতরাং অতৃপ্তির ভাব জাগিয়া আছে, এবং আমরাও তাহার অংশ পাইয়া চারিদিক আরও অন্ধকার দেখিবার উদ্যোগ করি—আমাদের সেই আতঙ্কের ভাব প্রকাশ করিতে পারি না, অস্তরের কথা অস্তরেই থাকিয়া যায়। এই অতৃপ্তির ভাব, আমাদের বোধ হয়, কঠোর বিজ্ঞানলোচনার ফল । বিজ্ঞানরাজ্যে যতই প্রবেশ করা যায়, ততই আরও অধিক রাজ্য আবিষ্কার করিবার ইচ্ছা হয়, সুতরাং অতৃপ্তি আসা স্বাভাবিক ; এবং আমাদের ইহাও বোধ হয় যে, এই প্রকার অতৃপ্তির ভাব অস্তুতঃ আংশিক রূপে ন! থাকিলে বৈজ্ঞানিক সত্য আবিষ্কার করিবার জন্ত রাশি রাশি বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করা দুরূহ হইয় উঠে । উপসংহারে রামেন্দ্র বাবুর উপর আমাদের আশা ভরসার দুই চারিটি কথা বলিব। তিনি অবশু তাহার পুস্তকে আক্ষেপ প্রকাশ পূৰ্ব্বক লিখিয়াছেন—“দীন বঙ্গ ভাষা ও দীন বঙ্গ সাহিত্য ; অন্তদেশে যাহা সম্পাদিত হইয়াছে, এ দেশে তাহার বর্ণনারও উপায় নাই ।” আমরা তাহার দুঃখের সহিত গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করিতেছি । কিন্তু আমাদের কি ইহা কম আশার কথা যে, রামেন্দ্র বাবু প্রভূতির দ্যায় কৃতবিদ। ব্যক্তিগণ আমাদের মাতৃভাষার ভাণ্ডার পূর্ণ করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর হইয়াছেন ? ইংরাজদিগের মধ্যে যদি হক্সলি স্পেনসর প্রভৃতির স্তায় মহাত্মা ব্যক্তিগণ ইংরাজি ভাযাকে এত সমুন্নত না করিতেন, তাহ হইলে আজ তাহারা কিসের গৌরব করিতেন ? তেমনি আমাদের দেশের কৃতবিদ্য ব্যক্তিগণ বঙ্গভাষাকে পরিপুষ্ট করিবার জন্ত যত্ন করিতেছেন বলিয়াই আমরা আজ গৌরব করিতেছি যে, ভারতের সকল ভাষার মধ্যে বঙ্গভাষা সমধিক পরিপুষ্ট । বিশেষতঃ আজ