পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిe জিজ্ঞাসা যে জ্ঞানী, যে ধাৰ্ম্মিক, তাহার দুঃখভোগ-শক্তি অধিক । দুঃখও অধিক । মানুষেরই ত দুঃখ, কাঠ পাথরের আবার দুঃখ কি ? * জাতীয় উন্নতির সঙ্গে দুঃখের মাত্রা কমিতেছে বলাও চলে না । উন্নত কে ? না, যার দুঃখভোগের ক্ষমতা অধিক, যে ভুগিতে জানে, সুতরাং ভোগে । যাহার চেতনা নাই, তাহার দুঃখ নাই । নিকৃষ্ট জীবের অপেক্ষ উৎকৃষ্ট জীবের অনুভূতি প্রখর ; নিকৃষ্ট মানুষের চেয়ে উৎকৃষ্ট মানুষের অনুভূতি তীক্ষ । সুতরাং দুঃখানুভবশক্তির বিকাশের নামই উন্নতি বা অভিব্যক্তি । যেখানে উন্নতি অধিক, সেখানে দুঃখ ও অধিক। ফিজি দ্বীপের লোকে বুড়া বাপকে রাধিয়া খায় ; বিদেশী কারাবাসীর জন্ত হাউয়ার্ডের প্রাণ র্কাদে ; কার দুঃখ তাধিক ? মোটের উপর জীবনে সুখ থাকা অসম্ভব, এবং জীবনের উদ্দেশ্য সুখ নহে। মানুষ বাচিয়া তাছে ৪ বঁচিতে চায়, তাহাতে সুখের প্রমাণ হয় না ; তাহাতে প্রাকৃত শক্তির নিকটে মানুষের পূর্ণ অধীনতা সম্প্রমাণ করে মাত্র। মানুষ অন্ধ শক্তির বশে ঘুরিয়া ঘুরিয়া মরিতেছে, ফাদ এড়াইতে যাইয়। র্যাদে পা দিতেছে ; দুঃখ এড়াইতে গিয়া দুঃখে পড়িতেছে ; তথাপি তাহার জ্ঞান হয় ন! ; তথাপি সে বঁাচিতে চায় ।" প্রকৃতির হাতের ক্রীড়াপুতুল মানুষ । ইহাই প্রধান রহস্ত বুদ্ধিমান যে আত্মঘাতী । সে প্রকৃতিকে ঠকায় । বর্তমান দুঃখবাদীদের মধ্যে শোপেনহাওয়ার ও হার্টম্যান গ্রণী । সুখের অাশা নাই ; সভ্যতার বৃদ্ধি ও জ্ঞানের উন্নতি দুঃখই বাড়াইবে ; সুখের বাঞ্ছা ত্যাগ কর ; ইচ্ছা নিরোধ কর ; তোমার জীবন, তৎসঙ্গে জাতীয় জীবন, শূন্তত্বে সমাহিত হউক। দুৰ্ত্তিমান ইংরাজ যে মোটের উপর মুখবাদী হইবেন বুঝা যায় ; কিন্তু বলদৃপ্ত জ্ঞানদৃপ্ত জৰ্ম্মণিতে কিরূপে দুঃখবাদের প্রাদুর্ভাব হইল, ভাল বুঝা যায় না ।