পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@rbや জিজ্ঞাসা যাহার সহিত সাদৃশু দেখিয়া ও মিলাইয়া এষ্ট বর্তমান বোধটাকেও তৎসদৃশ ঠাহর করিতেছি, ও সেই বোধকে ৪ বৰ্ত্তমান বোধকে সঞ্জাতীয় অনুভব করিয়া একটা স্থনির্দেশু-লক্ষণাক্রাস্ত স্থির করিয়া ‘গাছ দেখা? এই নাম দিতেছি । আর একটু দেখা যাউক । গাছ দেখিতেছি, বলিলে যেমন সেই প্রত্যয় ছাড়া প্রত্যয়ের বাহিরে গাছনামক পদার্থের অস্তিত্ব স্বতঃ প্রতিপন্ন হইল না, সেইরূপ জ্ঞানে জ্ঞানে বা অমুভবে অমুভবে Lয সাদৃশু দেখিতেছি বা ভেদ বোধ করিতেছি, তাহাতে আমার সেই সাদৃশুবুদ্ধি-সংজ্ঞক অনুভব ও ভেদবুদ্ধিসংজ্ঞক অনুভবেরই অস্তিত্ব প্রমাণ হইল, বস্তুতই যে আমার অনুভূতি ছাড়াঙ্গয়া প্রতায়ে প্রত্যয়ে মিল আছে, ও অনুভূতিতে অনুভূতিতে ভেদ আছে, তাহা প্রতিপন্ন হইল না । এইরূপ সাদৃশু আছে ও ভেদ আছে, আমি বোধ করি ও ধরিয়া লই ; এবং সেইরূপ ধরিয়া লওয়াতেই আমার নিজের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত। যদি এইরূপ বোধ না করি তাম, যদি আমার সকল প্রত্যয়ক্ট একাকার বুঝতাম, অথবা কোন প্রত্যয়ের সহিত অপর প্রত্যয়ের কোন মিল না দেখিতাম, তাহ হইলে আমিই বা থাকিতাম কোথা, তার কেই বা থাকিত কোথা ? আমাকে ছাড়িয়া, আমার অনুভূতি ছাড়িয়া, তাহার বাহিরে একটা কিছু আছে, এইরূপ মনে করিলে, এইরূপ কল্পনা করিলে আমার সুবিধা হইতে পারে ; কিন্তু বাস্তবিকই আছে, এক জোর করিয়া বলিবার অামার কোন অধিকার নাই। কতদূরে দাড়াইল, দেখা যাউক । কতকগুলি জ্ঞান আছে, ও তাহদের মধ্যে সাদৃশু-ভেদ-সম্বন্ধ এই সংজ্ঞাবিশিষ্ট একটা প্রতীতি আছে । এই পর্য্যন্তের অস্তিত্ব স্বতঃসিদ্ধ ও স্বীকার্য্য ; অন্তথা বিচার চলে ন ও কিছুই থাকে না । ইঙ্গর অধিক কোন বিষয়ের অস্তিত্বস্বীকারে সম্প্রতি দরকার নাই । এষ্ট যে সাদৃশু-সম্বন্ধের ও ভেদ-সম্বন্ধের প্রতীতি জন্মে, ইহা লষ্টয়াই চৈতন্ত্য ; অথবা ইহার অপর সংজ্ঞাই, জ্ঞানের প্রবাহ