পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ես o জিজ্ঞাসা আরম্ভ করে, এবং আবার যখন সেই স্বচ্ছ পদার্থ হইতে বাহির হইয়া বায়ুমধ্যে আসে, তখন আর মিশিবার অবকাশ না পাইলে ভিন্ন ভিন্ন পথে চলিতে থাকে ৷ এক এক রকমের ঢেউ এক এক রাস্তায় চলিতে থাকে ; পরম্পর ছাড়াছাড়ি হইয়া যায়। তখন তাহদের মধ্যে কোন একটিকে বা কতকগুলাকে বাছিয়া লওয়ার সুবিধা হয় । কতকগুলি চোথে প্রবেশ করিয়া ধাক্কা দিলেই রঙিল আলো পাওয়া যায় । এইরূপে ঢেউগুলিকে পরস্পর হইতে তফাত করিয়া হাঙ্গাদিগকে বাছিয়া ফেলাকে আলোক-বিশ্লেষণ বলা যাইতে পারে। বর্ণ-উৎপাদনের এই একটা উপায়। নিউটন এই উপায়েই সূর্য্যালোকের প্রকৃতিনির্ণয় করিয়াছিলেন । দ্বিতীয় উপায় । ঢেউগুলা যতক্ষণ আকাশ পথে চলে, ততক্ষণ কেহ তাহাদের গতিরোধ করে না । কিন্তু চলিতে চলিতে কোন জড় পদার্থের বাধা পাইলেই তাহদের গতিবিধির ব্যতিক্রম ঘটে । সেই জড় পদার্থের পিঠে প্রতিহত হইয়া কতকগুল ঢেউ ফিরিয়া আসে, কতকগুলা হয়ত ভিতরে প্রবেশ করিয়া শেষ পর্য্যস্ত তা হাকে ভেদ করিয়া চলিয়া যায় । এই রূপে ভেদ করিয়া যাইবার সময় তাহার পথ বাকিয়া যাইতে পারে, তাহা উপরে বলিয়াছি । আবার কতকগুলা ঢেউ হয়ত প্রতিস্থত হইয়া ফিরিয়া আসে না, রাস্ত কাটিয়া চলিয়। যাক্ট ও পারে না ; তাহার সেই জড় দ্রব্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুগুলির মধ্যে আটকা পড়িয়া পথিমধ্যেই নষ্ট হয়। যে সকল ঢেউ ফিরিয়া আসে বা প্রবেশ করিয়া নিৰ্ব্বিঘ্নে চলিয়া যায়, তাহদের সহিত জড় পদার্থের অণুগুলির বড় গোলযোগ ঘটে না । অণুরাও তাহদের বাধা দেয় না, তাহারাও অণুগুলিকে কোনরূপ বিচলিত করে না । কিন্তু আবার কতকগুলি ঢেউ অণুগুলিরই গায়ে ধাক্কা দিয়া অণুগুলিকে চঞ্চল করিয়া দোলাইয়া দিয়া যায় ! অণুগুলি ধাক্কার পর ধাক্কা খাইয়া চঞ্চল হয় ও কঁাপিতে থাকে ; কিন্তু