পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরীতকী শাখাদের নিচে যেন হীরের স্ফুলিঙ্গ অণর স্ফটিকের মতো শাদা জলের উল্লাস ঃ নৃমুণ্ডের অর্ণবছায়া—নিস্তব্ধতা— বাদামী পাতার ঘ্ৰাণ-মধুকুপী ঘাস । কয়েকটি নারী যেন ঈশ্বরীব মতে ঃ পুরুষ তাদের ঃ কৃতকর্ম নবীন ; খোপার ভিতরে চুলে ঃ নরকের নবজাত মেঘ, পণ য়ের ভঙ্গির নিচে হঙকঙের তৃণ । সেখানে গোপন জল স্নান হ'য়ে হীরে হয় ফের, পাতাদের উৎসরণে কোনো শব্দ নাই ; তবু তার টের পণয় কণমানের স্থবির গর্জনে বিনষ্ট হতেছে সাংহাই । সেইখানে যুথচারী কয়েকটি নারী ঘনিষ্ঠ চাদের নিচে চোখ আর চুলের সংকেতে মেধাবিনী ; দেশ আর বিদেশের পুরুষের যুদ্ধ আর বাণিজ্যের রক্তে অণর উঠিবে না মেতে । প্রগাঢ় চুম্বন ক্রমে টানিতেছে তাহদের তুলোর বালিশে মাথা রেখে আর মানবীয় ঘুমে স্বাদ নেই ; এই নিচু পৃথিবীর মাঠের তরঙ্গ দিয়ে ওই চূর্ণ ভূখণ্ডের বাতাসে— বরুণে ক্রুর পথ নিয়ে যায় হরীতকী বনে— জ্যোৎস্নায় । যুদ্ধ আর বাণিজোব বেলোয়ারি রৌদ্রের দিন শেষ হ’য়ে গেছে সব ; বিনুনিতে নরকের নির্বচন মেঘ, পায়ের ভঙ্গির নিচে রশ্চিক-- কর্কট— তুলা— মীন । SS