পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতি থমথমে রাত,—আমার পাশে ব’সল অতিথি,— বল্লে,—আমি অতীত ক্ষুধা,—তোমার অতীত স্মৃতি । —যেদিন গুলো সাঙ্গ হ’লে ঝড়বাদলের জলে, শুষে গেল মেরুর হিমে,—মরুর অনলে, ছায়ার মত মিশেছিলাম আমি তাদের সনে ; তারা কোথায় ?— বন্দী স্মৃতিই কণদছে তোমার মনে । কাদছে তোমার মনের খাকে,—চণপণ ছাইয়ের তলে, কাদছে তো মণর স্যাতসেঁতে শ্বাস—ভিজা চোখের জলে, কঁদিছে তোমার মূক মমতার রিক্ত পাথার ব্যেপে', তোমার বুকের খাড়ার কোপে,— খুনের বিষে ক্ষেপে’ ! অাজকে রাতে কোন সে সুদূর ডাক দিয়েছে তারে,— থাকবে না সে ত্রিশূলমূলে, শিবের দেউল দ্বারে ! মুক্তি আমি দিলেম তারে,—উল্লাসেতে দুলে’ স্মৃতি আমার পালিয়ে গেল বুকের কপাট খুলে’ নবালোকে,—নবীন উষার নহবতের মাঝে ! ঘুমিয়েছিলাম,—দেণরে আমার কার করাঘাত বাজে ! —-অাবণর অা মণয় ডাকলে কেন স্বপন ঘোরের থেকে ! অই লোকালোক-শৈলচূড়ায় চরণখান রেখে র’য়েছিলাম মেঘের রাঙা মুখের পানে চেয়ে, কোথার থেকে এলে তুমি হিমসরণি বেয়ে’ ! ঝিমঝিমে চোখ,—জটা তোমার ভাসছে হাওয়ার ঝড়ে, শ্মশানশিঙা বাজল তোমার প্রেতের গলার স্বরে । অামার চোখের তারার সনে— তোমার আঁখির তারা মিলে গেল,—তোমার মাঝে আবার হ’লেম হারা ! —হারিয়ে গেলাম ত্রিশূলমূলে,—শিবের দেউলদ্বারে ; কঁদিছে স্মৃতি—কে দেবে গো—মুক্তি দেবে তারে । ১২৪