পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এনেছে সে নব নব ঋতুরাগ,—পউষনিশির শেষে ফাগুনের ফাগুয়ার মায়ণ । তার তরে বৈতরণীতীরে সে যে ঢালিয়াছে গঙ্গার গাগৰ্বী, মৃত্যুর অঙ্গর মথি স্তন তার বার বণর ভিজা রসে উঠিয়াছে ভরি’ ! উঠিয়াছে দুর্বাধীনে শোভি মানবের তরে সে যে এনেছে মানবী | মশলাদরাজ এই মাটিটর বা ঝ যে রে, y কেন তবে দুদণ্ডের অশ্রু --- অমানিশ। দূর আকাশের তরে বুকে তেবে তুলে যায় মেশাখের মক্ষিকার তুষ । নয়ন মুদি নু ধীরে,- শেষ আলো নিভে গেল পলাতক নীলিমার পরে, সদ্য প্রসূতির মত অন্ধকার বসুন্ধর অববি’ আমারে । ওগো দরদিয়া-- — ওগো দ বfদয়া, তোমারে ভুলিবে সবে,-- যাবে সবে তোমারে ত্যজিয়। , ধরণীর পসরায় তোমারে পাবে না কেহ দিনান্তেও খুঁজে, কে জানে রহিবে কোথা নিশিভোরে নেশাথের আঁখি তব বুজে । —হয়তে সিন্ধুর পারে শ্বেতশঙ্খ ঝিনুকের পাশে তোমার কঙ্কালখণন শুয়ে রবে নিদ্রা তারা উর্মির নিঃশ্বাসে ! চেয়ে রবে নিম্পলক অতিদূর লহরীর পানে, গীতিহারা প্রাণ তব হয়তো বা তৃপ্তি পাবে তরঙ্গের গানে ! হয়তো বনচছায় লেতা গুল্ম পল্লবের তলে ঘুমায়ে রহিবে তুমি নীলশম্পে শিশিরের দলে ; হয়তো বা প্রান্তরের পরে তুমি র’বে শুয়ে প্রতিধ্বনিহারা,— তোমারে হেরিবে শুধু হিমানীর শীর্ণকাশ, -নীহারিক,- তারা, তোমারে চিনিবে শুধু প্ৰেত-জ্যোৎস্না,--বধির জোনাকি ! তোমারে চিনিবে শুধু আঁধারের আলেয়র আঁখি । >心9