পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি কবিতা পৃথিবী প্রবীণ অারে হয়ে যায় মিরুজিন নদীটির তীরে ; বিবর্ণ প্রাসাদ তার ছায়া ফেলে জলে । ও-প্রাসাদে কারা থাকে ? কেউ নেই—সোনালি আগুন চুপে জলের শরীরে নডিতেছে—জ্বলিতেছে —মীয়া বীর মতো জাদুবলে । সে-অর্ণগুন জ্ব’লে যায়—দহেনীকে কিছু । সে-আপ গুন জ্ব'লে যায় সে-অণগুন জ্ব'লে যায় সে-অর্ণগুন জ'লে যায় দহেনাকো কিছু । নিমৗল অণগুনে ওই অামার হৃদয় মৃত এক সরিসের মতো । পৃথিবীর রাজক্টাস নয়— নিবিড় নক্ষত্র থেকে যেন সমাগত সন্ধ্যার নদীর জলে এক ভিড হাস অই--একা ; এখানে পেল না কিছু ; করুণ পাখায় তাই তার চ'লে যায় শাদা, নিঃসহায় । মূল সারসের সাথে হ’লে মুখ দেখা । २ রাত্রির সংকেতে নদী যতদূর ভেসে যায়—আপনার অভিজ্ঞান নিয়ে অামারো নৌকায় বাতি জ্বলে ; মনে হয় এইখানে লোকশ্রুত আমলকী পেয়ে গেছি আমার নিবিষ্ট করতলে ; সব কেরোসিন- অগ্নি ম’রে গেছে ; জলের ভিতরে অণভ দ’হে যায় মায়াবীর মতো জাদুবলে । পৃথিবীর সৈনিকের ঘুমায়েছে বিম্বিসার রাজার ইঙ্গিতে ঢের দূরে ভূমিকার পর ;