পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্য সারাংসার মূর্তি সোনার বৃষের পরে ছুটে সারাদিন হ’য়ে গেছে এখন পাথর ; যে সব যুবার। সিংহীগর্ভে জন্মে পেয়েছিলো কৌটিল্যের সংযম তারাও মরেছে—আী পামর । যেন সব নিশিডাকে চ’লে গেছে নগরীকে শূন্য ক’রে দিয়ে— সব কাথ বাথরুমে ফেলে ; গভীর নিসর্গ সাড় দিয়ে শ্রুতি বিস্মৃতির নিস্তব্ধত। ভেঙে দিতে। তবু একটি মানুষ কাছে পেলে ; যে-মুকুর পারদের ব্যবহার জানে শুধু, যেই দীপ প্যারাফিন, বাটা মাছ ভাজে যেই তেলে, সম্রাটের সৈনিকের যে-সব লাবণি, লবণ রাশি খাবে জেগে উঠে, অমায়িক কুটুম্বিনী জানে ; তবুও মানুষ তার বিছানায় মাঝরাতে নৃমুণ্ডের হেঁয়ালিকে আঘাত করিবে কোনখানে ? হয়তো নিসর্গ এসে একদিন ব'লে দেবে কোনো এক সম্রাজ্ঞীকে জলের ভিতরে এই অগ্নির মানে । অভিভাবিক। তবুও যখন মৃত্যু হবে উপস্থিত আর-একটি প্রভাতের হয়তো বা অন্যতর বিস্তীর্ণতায়,-- মনে হবে অনেক প্রতীক্ষা মোরা ক'রে গেছি পৃথিবীতে চোয়ালের মাংস ক্রমে ক্ষীণ ক’রে কোনো এক বিশীর্ণ কাকের অক্ষি-গোলকের সাথে আঁখি-তারকার সব সমাহার এক দেখে ; তবু লঘু হাস্থ্যে-সন্তানের জন্ম দিয়ে— তারা আমাদের মতো হবে—সেই কথা জেনে—ভুলে গিয়ে— লোল হাস্থ্যে জলের তরঙ্গে মোরা শুনে গেছি আমাদের প্রাণের ভিতর, নব শিকডের স্বাদ অনুভব ক’রে গেছি –ভোরের স্ফটিক রৌদ্রে ।