পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোথাও জলকে ঘিরে পৃথিবীর অফুরান জল র’য়ে গেছে ;– যে যার নিজের কাজে আছে, এই অনুভবে চ’লে শিয়রে নিয়ত স্ফীত সূর্যকে চেনে তারা ; অণকাশের সপ্রতিভ নক্ষত্রকে চিনে উদীচীর কোনো জল কী ক’রে অপর জল চিনে নেবে অন্য নিঝর্ণরের ? তবুও জীবন ছুঁয়ে গেলে তুমি ;– অগমণর চোখের থেকে নিমেষনিহত সূর্যকে সরায়ে দিয়ে । স’রে যেত ; তবুও আয়ুর দিন ফুরোবার আগে নব-নব সূর্যকে কে নারীর বদলে ছেড়ে দেয় ? কেন দেব ? সকল প্রতীতি উৎসবের চেয়ে তবু বড় স্থিরতর প্রিয় তুমি ;–নিঃসূর্য নির্জন ক’রে দিতে এলে । মিলন ও বিদায়ের প্রয়োজনে অগমি যদি মিলিত হতাম তোমার উৎসের সাথে, তব আমি অন্য সব প্রেমিকের মতে। বিরাট পৃথিলী আর সুবিশাল সময়কে সেবা ক'রে আত্মস্থ হতাম । তুমি তা জান না, তবু, আমি জানি, একবার তোমাকে দেখেছি ;– পিছনের পটভূমিকায় সময়ের শেষনাগ ছিল, নেই ;—বিজ্ঞানের ক্লান্ত নক্ষত্রের নিভে যায় –মানুষ অপরিজ্ঞাত সে-অমায় ; তবুও তাদের একজন গভীর মানুষী কেন নিজেকে চেনায় ! আহা, তাকে অন্ধকার অনন্তের মতো আমি জেনে নিয়ে, তবু, অল্পায়ু রঙিন রৌদ্রে মানবের ইতিহাসে কে না জেনে কোথায় চলেছি ১৪১