পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমরা শতকী নও , তোমরা তো উনিশ শো অনম্ভের মতন সুগম । । অণলো নেই ? নরনারী কলরোল আলোর অাবহ প্রকৃতির ? মানুষেরও ; অনাদির ইতিহাসসহ । প্রয়াণপটভূমি বিকেলবেলার অালো ক্রমে নিভছে অণকাশ থেকে । মেঘের শরীর বিভেদ ক’রে বর্শাফলার মতো সূর্যকিরণ উঠে গেছে নেমে গেছে দিকে-দিগন্তরে ; সকলি চুপ কি এক নিবিদ প্রণয়বশত । কমলা হলুদ রঙের আপলো—আকাশ নদী নগরী পৃথিবীকে সূর্য থেকে লুপ্ত হয়ে অন্ধকারে ডুবে যাবার আগে ধীরে-ধীরে ডুবিয়ে দেয় –মানবহৃদয়, দিন কি শুধু গেল ? শতাবদী কি চ’লে গেল !—হেমস্তের এই আঁধারের হিম লাগে ; চেনা জানা প্রেম প্রতীতি প্রতিভা সাধ নৈরাজ্য ভয় ভুল সব-কিছুকেই ঢেকে ফেলে অধিকতর প্রয়োজনের দেশে মানবকে সে নিয়ে গিয়ে শাস্ত—অারো শান্ত হতে যদি অনুজ্ঞা দেয় জনমানবসভ্যতার এই ভীষণ নিরুদ্দেশে,— অাজকে যখন সত্ত্বন কম, নিরাশ ঢের, চেতনা কালজয়ী হতে গিয়ে প্রতি পলেই অtঘাত পেয়ে অমেয় কথা ভাবে, — অাজকে যদি দীন প্রকৃতি দাডায় যতি যবনিকার মতো শান্তি দিতে মৃত্যু দিতে ;–জানি তবু মানবতা নিজের স্বভাবে কালকে ভোরের রক্ত প্রয়াস সূর্যসমাজ রাষ্ট্রে উঠে গেছে ; ইতিহাসের ব্যাপক অবসাদের সময় এখন, তবু, নরনারীর ভিড নব নবীন প্রাকৃসাধনার ;–নিজের মনের সচল পৃথিবীকে ক্রেমলিনে লণ্ডনে দেখে তবুও তার আরো নতুন অমল পৃথিবীর । S&8