পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাহাদের যতদূর চক্রবাল অাছে লভিবার । হে অৰ্ণ কাশ, হে অ কাশ, একদিন ছিলে তুমি মেরুনিশীথের স্তব্ধ সমুদ্রের মতো ; তারপর হ'য়ে গেছ প্রভাতের নদীটির মতো প্রতিভার । সর্নোসরণি মনে হয় সমাবৃত হ’য়ে আছি কোন এক অন্ধকার ঘরে ;– দেয়ালের কণর্নিশে মক্ষিকার স্থিরভাবে জানে ঃ এই সব মানুষেরা নিশ্চয়তা হারায়েছে নক্ষত্রের দোষে ; পাচ ফুট জমিনের শিষ্টতায় মাথা পেতে রেখেছে আপোষে । হয়তো চেঙ্গিস আজো বাতিরে ঘুরিতে আছে করুণ রক্তের অভিযানে । বহু উপদেশ দিয়ে চ’লে গেলে কনফুশিয়াস – লবেজান তাওয়া এসে গাথুনির ইট সব ক'রে ফেলে র্যাস । বা তাসে ধর্মের কল ন'ড়ে ওঠে—ন’ডে চলে ধীরে । সূর্যসাগর তীরে মানুষের তীক্ষ ইতিহাসে কত কৃষ্ণ জননীর মৃত্যু হ’লো রক্তে—উপেক্ষায় ; বুকের সন্তান তবু নবীন সংকল্পে আজো আসে । সূর্যের সোনালি রশ্মি, বোলতার স্ফটিক পাখনা, মরুভূর দেশে যেই তৃণগুচ্ছ বালির ভিতরে আমাদের তামাসার প্রগলভতা ষ্ট্রেট শিরে মেনে নিয়ে চুপে তবু দুই দণ্ড এই স্মৃত্তিকার আড়ম্বর অনুভব করে, যে সারস-দম্পতির চোখে তীক্ষ ইস্পাতের মতো নদী এসে ক্ষণস্থায়ী প্রতিবিম্বে—হয়তো বা ফেলেছিলো সৃষ্টির আগাগোড়া শপথ হারিয়ে, যে-বাতাস সারাদিন খেলা করে অরণ্যের রঙে, যে-বনানী সুর পায়,— অণর যারা মানবিক ভিত্তি গ'ড়ে—ভেঙে গেল বার-বার— হয়তো বা প্রতিভার প্রকম্পনে –ভুল ক’রে --বধ ক'রে--প্রেমে ;–