পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সময়ঘড়ির কাছে রয়েছে অক্লান্তি শুধু ; অবিরল গ্যাসে অালো, জোনাকীতে আলো ; কর্কট, মিথুন, মীন , কন্যা, তুলা ঘুরিতেছে — আমাদের অমায়িক ক্ষুধা তবে কোথায় দাঁড়াল । গভীর এরিয়েলে ডুবল সূর্য ; অন্ধকারের অন্তরালে হারিয়ে গেছে দেশ । এমন তর আঁধার ভালো আজকে কঠিন রুক্ষ শতাব্দীতে । রক্ত-ব্যথা ধনিকতার উষ্ণতা এই নীরব স্নিগ্ধ অন্ধকারের শীতে নক্ষত্রদের স্থির সমাসীন পরিষদের থেকে উপদেশ পায় না নব ; তবুও উত্তেজনাও যেন পায় না এখন আর ; চার দিকেতে সার্থবাহের ফ্যাক্টরি ব্যাঙ্ক মিনার জাহাজ –সব, ইন্দ্রলোকের অন্স বীদের ঘাটা, গ্লাসিয়ারের যুগের মতন আঁধারে নীরব । অন্ধকারের এ-হাত অামি ভালো বা সি ; চেন নবীর মতো অনেক দিনের অদর্শনার পরে অt বার হাতের কাছে এসে জ্ঞানের অালো দিনকে দি যে কি অভিনিবেশে প্রেমের আলো প্রেমকে দিতে এসেছে সময়মতো ; হাত দু’খানা ক্ষমাসফল ; গণনাহীন ব্যক্তিগত গ্ল।নি ইতিহাসের গোলকধাধায় বন্দী মরুভূমি— সবের পরে মৃত্যুতে নয় নৗববতায় আত্মবিচারের আঘাত দেবার ছলে কি রাত এমন স্নিগ্ধ তুমি । অাজকে এখন আঁধারে অনেক মৃত ঘুমিয়ে আছে । অনেক জীবিতের কঠিন সাকো বেয়ে মৃত্যুনদীর দিকে জলের ভিতর নামছে—ব্যবহৃত পৃথিবীটিকে সন্ততিদের চেয়েও বেশি দৈব অণধার আকাশবাণীর কাছে ছেড়ে দিয়ে—স্থির ক’রে যায় ইতিহাসের গতি । যারা গেছে যাচ্ছে—রাতে যাব সকলি তবে । ১৬৩