পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরেট নিঃসক্ত অন্ধকার’—ব'লে যেন কেউ যেন কথা বলে । হয়তো সে বাংলার জাতীয় জীবন । সত্যের নিজের রূপ তবুও সবের চেয়ে নিকট জিনিস সকলের ; অধিগত হলে প্রাণ জানলার ফণক দিয়ে চোখের মতন অনিমেষ হয়ে থাকে ন ক্ষত্রের অণকাশে তণকালে । আমাদের প্রবীণের আমাদের আচ্ছন্নতা দিয়ে গেছে ? আমাদের মনীষীরা অামাদের অর্ধসত্য ব’লে গেছে অর্ধমিথ্যার ? জীবন তবুও অবিস্মরণীয় সততাকে চায় ; তবু ভয়-হয়তো ৰ চাওয়ার দীনতা ছাড়া আর কিছু নেই । ঢের ছবি দেখা হল—ঢের দিন কেটে গেল—ঢ়ের অভিজ্ঞত। জীবনে জড়িত হয়ে গেল, তবু, নক্ষত্রের রাতের মতন সফলতা মানুষের দৃববীনে রয়ে গেছে,—জ্যোতিগ্রন্থে ; জীবনের জন্যে আজো নেই । অনেক মানুষী খেলা দেখা হল, বই পড সাঙ্গ হল—তবু কে বা কাকে জ্ঞান দেবে—জ্ঞান বড় দূর পৃথিবীর রুক্ষ গল্পে ;-আমাদের জন্যে দূর-দূরতর অণজ । সময়ের ব্যাপ্তি যেই জ্ঞান অণনে আমাদের প্রাণে তা তো নেই ;—স্থবিরতা আছে—জরণ অাছে । চারিদিক থেকে ঘিরে কেবলি বিচিত্র ভয় ক্লান্তি অবসাদ র’য়ে গেছে । নিজেকে কেবলি আত্মক্রীড করি ; নীড় গড়ি । নীড় ভেঙে অন্ধকারে এই যৌন যৌথ মন্ত্রণার মালিন্য এডায়ে উৎক্রান্ত হতে ভয় পাই । সিন্ধুশব্দ বায়ুশব্দ রৌদ্রশাদ রক্তশব্দ মৃত্যুশব্দ এসে ভয়াবহ ডাইনীর মতো নাচে—ভয় পাই—গুহায় লুকাই ; লীন হতে চাই—লীন—ব্রহ্মশব্দে লীন হয়ে যেতে চাই । আমাদের দু'হাজার বছরের জ্ঞান এ-রকম । নচিকেতা ধর্মধনে উপবাসী হয়ে গেলে যম প্রীত হয় । তবুও ব্রহ্মে লীন হওয়াও কঠিন । আমরা এখনও লুপ্ত হই নি তো । ১৬৭