পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখনও পৃথিবী সূর্যে সুখী হয়ে রৌদ্রে অন্ধকারে ঘুরে যায় । থামালেই ভালো হত—হয়তো বা ; তবুও সকলই উৎস গতি যদি, রৌদ্রগুভ্র সিন্ধুর উৎসবে পাখির প্রমাথা দীপ্তি সাগরের সূর্যের স্পর্শে মানুষের হৃদয়ে প্রতীক ব’লে ধরা দেয় জ্যোতির পথের থেকে যদি, তাহলে যে অণলে অর্ঘ্য ইতিহাসে আছে, তবু উৎসাহ নিবেশ ষেই জনমানসের অনির্বচনীয় নিঃসঙ্কোচ এখনও অণসে নি তাকে বর্তমান অতীতের দিকচক্রবালে বণর বণর নেভাতে জ্বালাতে গিয়ে মনে হয় আজকের চেয়ে আরো দূর অনাগত উত্তরণলোক ছাড়া মানুষের তরে সেই প্রীতি, স্বর্গ নেই, গতি আছে ;—তবু গতির বাসন থেকে প্রগতি অনেক স্থিরতর ; সে অনেক প্রতারণা প্রতিভার সেতুলোক পার হল ব'লে স্থির ;– হতে হবে ব’লে দীন, প্রমাণ, কঠিন ; তবুও প্রেমিক—তাকে হতে হবে ;– সময় কোথাও পৃথিবীর মানুষের প্রয়োজন জেনে বিরচিত নয় ; তবু সে তার বহিমুখি চেতনার দান সব দিয়ে গেছে ব’লে মনে হয় ; এর পর আমাদের অন্তদীপ্ত হবার সময় । মৃত্যু স্বপ্ন সংকল্প আঁশ ধারে হিমের রণতে অণ কণশের তলে এখন জ্যোতিষ্ক কেউ নেই । সে কণরণ কণ দের এসে বলে : এখন গভীর পবিত্র অন্ধকার ; হে আকাশ, হে কালশিল্পী, তুমি আর সূর্য জাগিয়ে না ; মহাবিশ্বকারুকার্য, শক্তি, উৎস, সাধ ; মহনীয় আগুনের কি উচ্ছিত সোনা ? "לטאצ'