পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলের মুহূর্তে সেই সকল মানুষ লুপ্ত হয়ে গেছে জেনে নিতে হয় ; কলের নিয়মে কাজ সাঙ্গ হয়ে যায় ; কঠিন নিয়মে নিরঙ্কুশভাবে ভিড়ে মানবের কাজ অসমাপ্ত হয়ে থাকে—কোথাও হৃদয় নেই তবু । কোথাও হৃদয় নেই মনে হয়, হৃদয় যন্ত্রের ভয়াবহভাবে সুস্থ সুন্দরের চেয়ে এক তিল অবণ স্তর অYননেদর অশোভনতায় । ইতিহাসে মাঝে-মাঝে এ-রকম শীত অসারতা নেমে আসে ;–চারিদিকে জীবনের শুভ্র অর্থ র’য়ে গেছে তবু, রৌদ্রের ফলনে সোনা নারী শস্ত মানুষের হৃদয়ের কাছে, বন্ধ্যা ব’লে প্রমাণিত হয়ে তার লোকোত্তর মাথার নিকটে স্বগের সি*ড়ির মতো ;—হুণ্ডী হাতে অগ্রসর হয়ে যেতে হয় । আগমণদের এ-শতাব্দী আজ পৃথিবীর সাথে নক্ষত্রলোকের এই অবিরল সিড়ির পসরণ খুলে আত্মক্রীড় হল ; —মণ ঘসংক্রান্তির রাত্রি আজি এমন নিম্প্রভ হয়ে সময়ের বুনোনিতে অন্ধকার কাটার মতন কণকে বোনে ? কেন বোনে ? কোন দিকে কোথায় চলেছে ? এক ফেঁণটা বৃষ্টি পড়ে,—ঝাউ শিস জারুলে হাওয়ার শব্দ থেমে অtরে থেমে থেমে গেলে—আগমণদের পুথিবীর অহ্নিক গতির অন্ধ কণ্ঠ শোনা যায় ;–শোনো, এক নারীর মতন, জীবন ঘুমায়ে গেছে ; তবু তার আঁকাবাকা অস্পষ্ট শরীর নিশির ডাকের শবদ শুনে বেবিলনে পথে নেমে উজ্জয়িনী গ্রীসে রেনেসঁাসে রুশে অধো জেগে, তবু, হৃদয়ে বিকিয়ে গিয়ে ঘুমায়েছে অার একবার নির্জন হ্রদের পারে জেনিভার পপলারের ভিড়ে অন্ধ সুবাতাস পেয়ে ;–গভীর গভীরতর রাত্রির বাতাসে লোকার্নে হোসাই মিউনিখ অতলত্তের চার্টারে ইউ-এন-ওয়ের ভিড়ে আশী দীপ্তি ক্লাস্তি বাধা ব্যাসকুট বিষ— আরো ঘুম—র’য়ে গেছে হৃদয়ের-জীবনের ;–নারী, ՏԳՀ