পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরীরের জন্যে আরো আশ্চর্য বেদন বিমূঢ়তা লাঞ্ছনার অবতার ব’য়ে গেছে ; রাত এখনো রাতের স্রোতে মিশে থেকে সময়ের হাতে দীর্ঘতম রাত্রির মতন কেঁপে মাঝে-মাঝে বুদ্ধ সোফ্রাতেস কনফুচ লেনিন গোটে হোল্ডেরলিন রবীন্দ্রের রোলে আলোকিত হতে চায় ;–বেলজেনের সব-চেয়ে বেশি অন্ধকার নিচে আরো নিচে নিচে টেনে যেতে চায় তাকে ; পৃথিবীর সমুদ্রের নীলিমায় দীপ্ত হয়ে ওঠে তবুও ফেনার ঝর্না,—রেীদ্রে প্রদীপ্ত হয়,—মানুষের মন সহসা আগ কাশপথে বন হংসী পাখির বর্ণালি কি রকম সাহসিক চেয়ে দেখে,—সূর্যের কিরণে নিমেষেই বিকীরিত হয়ে ওঠে;—অমর ব্যথায় অসীম নিরুৎসাহে অন্তহীন অবক্ষয়ে সংগ্রামে অtশায় মানবের ইতিহাস-পটভূমি অনিকেত না কি ? তবু, অগণন অৰ্ধসত্যের উপরে সত্যের মতো প্রতিভাত হয়ে নব নবীন ব্যাপ্তির সর্গে সঞ্চারিত হয়ে মানুষ সবার জন্যে শুভ্রতার দিকে অগ্রসর হতে চায় – অগ্রসর হয়ে যেতে পারে । श्रछेडूमिब्र পটভূমির ভিতরে গিয়ে কবে তোমায় দেখেছিলাম আমি দশ-পনের বছর আগে ; সময় তখন তোমার চুলে কালো মেঘের ভিতর লুকিয়ে থেকে বিদ্যুৎ জ্বালালে তোমার নিশিত নারীমুখের ;– জানো তো অন্তর্যামী । তোমার মুখ ; চারিদিকে অন্ধকারে জলের কোলাহল, কোথাও কোনো বেলাভূমির নিয়ন্ত নেই,—গভীর বাতাসে তবুও সব রণক্লান্ত অবসন্ন নাবিক ফিরে আসে ; তারা যুবা, তারা মৃত ; মৃত্যু অনেক পরিশ্রমের ফল । সময় কোথাও নিবারিত হয় না, তবু, তোমার মুখের পথে আজো তাকে থামিয়ে এক দাড়িয়ে অtছ, নারি,— ১৭৩