পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ রাত্রি হাইড্র্যান্ট খুলে দিয়ে কুষ্ঠরোগী চেটে নেয় জল ; অথবা সে-হাইড্র্যান্ট হয়তো বা গিয়েছিলো ফেঁসে । এখন দুপুর রাত নগরীতে দল বেঁধে নামে । একটি মোটরকার গাড়লের মতো গেল কেশে অস্থির পেট্রল ঝেড়ে ; সতত সতর্ক থেকে তবু কেউ যেন ভয়াবহভাবে প'ড়ে গেছে জলে । তিনটি রিকৃশ ছুটে মিশে গেল শেষ গ্যাসল্যাম্পে মায়ণবীর মতো জাদুবলে । আমিও ফিয়ার লেন ছেড়ে দিয়ে - হঠকারিতায় মাইল-মাইল পথ হেঁটে— দেয়ালের পাশে দাড়ালাম বেণ্টিঙ্ক স্ট্রিটে গিয়ে—টেরিটিবাজারে ; চীনেবা দামের মতো বিশুষ্ক বাতাসে । মদির আলোর তাপ চুমো খায় গালে । কেরোসিন কাঠ, গালা, গুন চট, চামডার ঘ্রাণ ডাইনামোর গুঞ্জনের সাথে মিশে গিয়ে ধনুকের ছিল রাখে টান । টান রাখে মৃত ও জাগ্রত পৃথিবীকে । টান রাখে জীবনের ধনুকের ছিল । শ্লোক আওড়ায়ে গেছে মৈত্রেয়ী কবে ; রাজ্য জয় ক’রে গেছে অমর অণত্তিল । নিতান্ত নিজের সুরে তবুও তে। উপরের জানালার থেকে গান গায় অাধো জেগে ইহুদী রমণী ; পিতৃলোক হেসে ভাবে, কাকে বলে গান— অণর কাকে, সেনি, তেল, কাগজের খনি ।