পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই অন্ধ বাত্যাহত পৃথিবীকে কোনো দূর স্নিগ্ধ অলৌকিক তনুবাত শিখরের অপরূপ ঈশ্বরের কাছে টেনে নিয়ে নয়—ইহলোক মিথ্যা প্রমাণিত ক’রে পরকাল দীনাত্মা বিশ্বাসীদের নিধান স্বগের দেশ ব’লে সম্ভাষণ ক’রে নয়— কিন্তু তার শেষ বিদণয়ের অাগে নিজেকে মহাত্মা জীবনের ঢের পরিসর ভ'রে ক্লান্তিহীন নিয়োজনে চালায়ে নিয়েছে পৃথিবীরই সুধা সূর্য নীড় জল স্বাধীনতা সমবেদনাকে সকলকে —সকলের নিচে যারা সকলকে সকলকে দিতে । আজি এই শতাবদীতে মহাত্মা গান্ধীর সচ্ছলতা এ-রকম প্রিয় এক প্রতিভাদীপন এনে সকলের প্রাণ শতকের আঁধারের মাঝখানে কোনো স্থিরতর নির্দেশের দিকে রেখে গেছে ; রেখে চ’লে গেছে—ব’লে গেছে : শান্তি এই, সত্য এই ৷ হয়তো বা অন্ধকারই সৃষ্টির অন্তিমতম কথা ; হয়তো-বা রক্তেরই পিপাসা ঠিক, স্বাভাবিক— মানুষও রক্তাক্ত হতে চায় ;– হয়তো-বা বিপ্লবের মানে শুধু পরিচিত অন্ধ সমাজের নিজেকে নবীন ব’লে—অগ্রগামী ( অন্ধ ) উত্তেজের ব্যাপ্তি ব’লে প্রচারিত করার ভিতর ; হয়তো-বা শুভ পৃথিবীর কয়েকটি ভালো ভাবে লালিত জাতির কয়েকটি মানুষের ভালো থাকা—সুখে থাকা–রিরংসারক্তিম হয়ে থাকা হয়তো-বা বিজ্ঞানের, অগ্রসর, অগ্রসৃতির মানে এই শুধু, এই ! চারিদিকে অন্ধকার বেড়ে গেছে— মানুষের হৃদয় কঠিনতর হয়ে গেছে ; বিজ্ঞান নিজেও এসে শোকাবহ প্রতারণা ক’রেই ক্ষমতাশালী দেখ ; কবেকার সরলতা আজ এই বেশি শীত পৃথিবীতে—শীত ; বিশ্বাসের পরম সাগররোল ঢের দূরে সরে চলে গেছে ; প্রীতি প্রেম মনের আবহমান বহতার পথে যেই সব অভিজ্ঞতা বস্তুত শাস্তির কল্যাণের ծbՀ