পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশ কাল সন্ততি কোথাও পাবে না শাস্তি—যাবে তুমি এক দেশ থেকে দূরদেশে ? এ-মাঠ পুরোনো লাগে—দেয়ালে নোনার গন্ধ— পায়রা শালিখ সব চেনা ? এক ছাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য সূর্যে যায় তারা—লক্ষোর উদ্দেশে তবুও অশোকস্তম্ভ কোনো দিকে সাত্বনা দেবে না। কেন লোভে উদযাপনা ? মুখ স্নান—চোখে তবু উত্তেজনা সাধ ? জীবনের ধার্য বেদনার থেকে এ-নিয়মে নির্মুক্তি কোথায় । ফড়িং অনেক দূরে উড়ে যায় রোদে ঘাসে—তবু তার কামনা অবাধ অসীম ফড়িংটিকে খুঁজে পাবে প্রকৃতির গোলকধাধায় ? ছেলেটির হাতে বন্দী প্রজাপতি শিশুসূর্যের মতে হাসে ; তবু তার দিন শেষ হয়ে গেল ; একদিন হতই তো, যেন এই সব বিদ্যুতের মতো মৃত্ব ক্ষুদ্র প্রাণ জানে তার ; যত বার হৃদয়ের গভীর প্রয়াসে বাধা ছিঁড়ে যেতে যায়—পরিচিত নিরাশায় তত বার হয় সে নীরব । অলঙ্ঘ্য অন্তঃশীল অন্ধকারে ঘিরে আছে সব ; জানে তাহা কীটেরাও পতঙ্গেরা শান্ত শিব পাখির ছানাও ; বনহংসৗশিশু শূন্যে চোখ মেলে দিয়ে অবাস্তব স্বস্তি চায় ;–হে সৃষ্টির বনহংসা, কী অমৃত চাও ? মহাগোধূলি সোনালি খড়ের ভারে অলস গোরুর গাড়ি—বিকেলের রোদ পড়ে আসে কালো নীল হলদে পাখিরা ডানা ঝাপটায় ক্ষেতের ভাড়ারে ; শাদা পথ ধুলো মাছি—ঘুম হয়ে মিশছে আকাশে ; অস্ত-সূর্য গা এলিয়ে অড়র ক্ষেতের পারে-পারে k ১৮৫ छौद ब्रांनन्छ ( २ग्न )-->७