পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বয়স তোমার কত ? চল্লিশ বছর ইঙ্গ ? প্রপল্পের পালা টের এল গেলে— হল না মিলন ? পর্বতের পথে-পথে রৌদ্রে রক্তে অক্লাস্ত শফরে খচ্চরের পিঠে কারা চড়ে ? পতঞ্জলি এসে ব’লে দেবে প্রভেদ কী যা শুধু ব’সে থেকে ব্যথা পায় মৃত্যুর গহবরে মুখে রক্ত তুলে যারা খচ্চরের পিঠ থেকে প’ড়ে যায় ? মৃত সব অরণ্যেরা ; আমার এ-জীবনের স্বত অরণ্যেরা বুঝি বলে : কেন যাও পৃথিবীর রৌদ্র কোলাহলে নিখিল বিষের ভোক্তা নীলকণ্ঠ অণ কাশের নীচে কেন চ’লে যেতে চাও মিছে ; কোথাও পাবে না কিছু , মৃত্যুই অনন্ত শাস্তি হয়ে অস্তহীন অন্ধকারে অাছে লীন সব অরণ্যের কাছে । আমি তবু বলি : এখন যে-ক’টা দিন বেঁচে আছি সূর্যে-সূর্যে চলি, দেখা যাক পৃথিবীর ঘাস সৃষ্টির বিষের বিন্দু আর নিম্পেষিত মনুষ্ঠতার আঁধারের থেকে আনে কী ক’রে যে মহা-নীলাকাশ, ভাব" যাক—ভাব" যাক— ইতিহাস খুঁড়লেই রাশি-রাশি দুঃখের খ, ন ভেদ ক’রে শোনা যায় শুশ্রষার মতো শত-শত শত জলবার্নার ধ্বনি । ১৮৮