পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যতদূর যেতে হয় ততদূর অবাচীর অন্ধকারে গিয়ে তিমির শিকারী এক নাবিককে অণমি ফেলেছি হারিয়ে ; তিমির পিপণসী এক রমণীকে অণমি হারায়ে ফেলেছি ; কোথায় রয়েছি— জীব হ’য়ে কবে ভূমিষ্ঠ হয়েছি । এই তো জীবন ঃ সমুদ্রের অন্ধকারে প্রবেশাধিকারে ; নিপট আঁশ ধার ; ভালো বুঝে পুনরায় সাগরের সৎ অন্ধকারে নি ক্রমণ । সবি অণজে প্রতিশ্রুতি, তাই দেশষ হ’য়ে সব হ’য়ে গেছে গুণ । বেবুনের রাত্রি নয় তার হৃদয়ের রাত্রির বেবুন । চক্ষুস্থির ক্লান্ত জনসাধারণ আমি অণজ,— চিরকাল ;– আমার হৃদয়ে পৃথিবীর দণ্ডীদের মতো পরিমিত ভাষা নেই । রাত্রিবেলা বহুক্ষণ মোমের অণলোর দিকে চেয়ে, তারপর ভেণ রবেল” যদি আণমি হাত পেতে দিই সূর্যের আলোর দিকে,—তবুও আমার সেই একটি ভাবনা অতীব সহজ ভাষা খুঁজে নিতে গিয়ে হৃদয়ঙ্গম করে সব আড়ষ্ট, কঠিন দেবতার। ২৩