পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8 অপরূপ মদ খেয়ে মুখ মুছে নিয়ে পুনরায় তুলে নেয় অপূর্ব গেলাস ; উত্তেজিত না-হ’য়েই অনায়াসে ব’লে যtয় তারা : হেমন্তের খেতে কবে হলুদ ফসল ফলেছিলো, অথবা কোথায় কালো হ্রদ ঘিরে ফুটে আছে সবুজ সিঙাড়া । রক্তণতিপণতের দেশে ব’সেও তাদের সেই প্রাঞ্জলতায় দেখে যাই সোনালি ফসল, হ্রদ, সিঙাড়ার ছবি ; অামার প্রেমিক সেই জলের কিনারে ঘাসে— দক্ষ প্রজাপতি ; মানুষ-ও-ছাগমুণ্ড কেটে তাকে শুদ্ধ ক’রে দিয়ে যাবে অনাগত সবি, একদিন হয়তো বা ;– আজি সব উত্তমর্ণ দেবতাকে আমার হৃদয় যে-সব পবিত্র মদ দিয়েছিলো—যে-সব মদির আলোর রঙের মতো স্নান মদ দিয়ে গিয়েছিলো,— যখনি চুমুক দিই হ’য়ে থাকি চর্মচক্ষুস্থির । খেতে প্রান্তরে ঢের সম্রাটের রাজ্যে বাস ক’রে জীব অবশেষে একদিন দেখেছে দু-তিন ধনু দূরে কোথাও সম্রাট নেই, তবুও বিপ্লব নেই, চাষা বলদের নিঃশব্দৰ্তা খেতের দুপুরে । বাংলার প্রান্তরের অপরাতু এসে নদীর খাড়িতে মিশে ধীরে বেবিলন লণ্ডনের জন্ম, মৃত্যু হ’লে— তবুও রয়েছে পিছু ফিরে । বিকেল এমন ব’লে একটি কামিন এইখানে দেখা দিতে এলো তার কামিনীর কাছে ; মানবের মরণের পরে তার মমির গহবর এক মাইল রৌদ্রে প’ড়ে আছে