পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজের ক্ষমতা তার এত বেশি ব’লে শুনে গেছে ঢের দিন আমাদের মুখের ভণিতা ; তবুও বক্তৃতা শেষ হ’য়ে যায় বেশি করতালি শুরু হ’লে । এরা তাহ জানে সব । অামাদের অন্ধকারে পরিত্যক্ত খেতের ফসল ঝাড়ে-গোছে অপরূপ হ’য়ে ওঠে তবু বিচিত্র ছবির মায়ণ বল । ঢের দূরে নগরীর নাভির ভিতরে আজ ভোরে যাহারী কিছুই সৃষ্টি করে নাই তাহণদের অবিকার মন শৃঙ্খলায় জেগে উঠে কাজ করে—রাত্রে ঘুমায় পরিচিত স্মৃতির মতন । সেই থেকে কলরব, কাড়াকড়ি, অপমৃত্যু, ভ্রাতৃবিরোধ, অন্ধকার সংস্কার, ব্যজিস্তুতি, ভয়, নিরাশ}র জন্ম হয় । সমুদ্রের পরপর থেকে তাই স্মিতচক্ষু নাবিকের আসে ; ঈশ্বরের চেয়ে স্পর্শময় অণক্ষেপে প্রস্তুত হ’য়ে অর্ধনারীশ্বব তরাইয়ের থেকে লুব্ধ বঙ্গোপসাগরে সুকুমার ছায়া ফেলে সৃযিমামার নণবিকের লিবিডোকে উদ্বোধিত করে । Wり ঘাসের উপর দিয়ে ভেসে যায় সবুজ বাতাস । অথবা সবুজ বুঝি ঘাস । অথবা নদীর নাম মনে ক’রে নিতে গেলে চারিদিকে প্রতিভাত হ’য়ে উঠে নদী দেখা দেয় বিকেল অবধি ; অসংখ্য সূর্যের চোখে তরঙ্গের আনন্দে গড়ায়ে ডাইনে অণর বায়ে ২৯, •