পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বভাব যদিও অামার চোখে ঢের নদী ছিলো একদিন পুনরায় আমাদের দেশে ভোর হ’লে, তবুও একটি নদী দেখা যেতে শুধু তারপর ; কেবল একটি নারী কুয়াশা ফুরোলে নদীর রেখার পর লক্ষ্য ক’রে চলে ; সূর্যের সমস্ত গোল সোনার ভিতরে মানুষের শরীরের স্থিরতর মর্যাদার মতো তার সেই মূর্তি এসে পড়ে । সূর্যের সম্পূর্ণ বড় বিভোর পরিধি যেন তণর নিজের জিনিস । এতদিন পরে সেই সব ফিরে পেতে সময়ের কাছে যদি করি সুপারিশ তাহ’লে সে স্মৃতি দেবে সহিষ্ণু আলোয় দু-একটি হেমন্তের রাত্রির প্রথম প্রতরে ; যদিও লক্ষ লোক পৃথিবীতে আজ । অণচ্ছন্ন মাছির মতো মরে— তবুও একটি নারী ভোরের নদীর জলের ভিতরে জল চিরদিন সূর্যের আলোয় গডাবে এ-রকম দু-চারটে ভয়াবহ স্বাভাবিক কথা ভেবে শেষ হ’য়ে গেছে একদিন সাধারণ ভাবে । প্রতীতি বাতাবীলেবুর পাতা উডে যায় হাওয়ায়—প্রাস্তরে,-- সার্সিতে ধীরে-ধীরে জলতরঙ্গের শব্দ বাজে ; একমুঠো উড়ন্ত ধুলোয় আজ সময়ের আস্ফোট রয়েছে ; না হ’লে কিছুই নেই লবেজণন লড়ায়ে জাহাজে । বাইরে রৌদ্রের ঋতু বছরের মতো আজ ফুরায়ে গিয়েছে ; হোক-না তা ; প্রকৃতি নিজের মনোভাব নিয়ে অতীব প্রবীণ ; ○。