পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে ছাড়া তবে কে আর ; যেন তার দুই গালে নিরুপম দাড়ির ভিতরে ঘটে। বৈবাহিক পেঁচা ত্রিভুবন আবিষ্কার ক’রে তবু ঘরে ব’সে আছে ; মুন্সী, সাভারকর, নরম্যান তিন দৃষ্টিকোণ থেকে নেমে এসে দেখে গেল, মহিলারা মর্মরের মতো স্বচ্ছ কৌতুহলভরে, অব্যয় শিল্পীরা সব ; মেঘ ন চাইতে এই জল ভালোবাসে । সোলালি সিংহের গল্প অামাদের পরিজন নিজেদের চিনেছিলো না কি ? এই সেই সংকল্পের পিছে ফিরে হেমন্তের বেলা বেলি দিন নির্দোষ অণমেণদে সাঙ্গ ক’রে ফেলে চায়ের ভিতরে ; চায়ের অসংখ্য ক্যাটিন । আমাদের উত্তমণদের কাছে প্রতিজ্ঞার শর্ত চেয়ে তবু তাহাদের খুঁজে পাই ছিমছাম,– কনুয়ের ভরে বসে আছে প্রদেশের দূর বিসারিত সব ক্ষমতার লোভে । কোথায় প্রেমিক তুমি ঃ দীপ্তির ভিতরে ! কোথাও সময় নেই আমাদের ঘড়ির আগ ধারে । আমাদের স্পর্শাতুর কন্যাদের মন বিশৃঙ্খল শতাব্দীর সর্বনাশ হ’য়ে গেছে জেনে স প্রতিভ রূপসীর মতো বিচক্ষণ, যে কোনো রাজার কাজে উৎসাহিত নাগরের তরে , যে-কোনো ত্বরান্বিত উৎসাহের তরে ; পৃথিবীর বারগ্রহ ধ'রে তারা উঠে যেতে চায় । নীরবতা অামাদের ঘরে । আমাদের খেতে-ভূয়ে অবিরাম হতমান সোনা ফ’লে অাছে ব’লে মনে হয় ; অণমণদের হৃদয়ের সাথে সে-সব ধানের অন্তরিক পরিচয় নেই ; তবু এই সব ফসলের দেশে সূর্য নিরস্তর হিরন্ময় ; ԾԵ