পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিমিরহননের গান কোন হ্রদে কোথাও নদীর ঢেউয়ে কোনো এক সমুদ্রের জলে পরস্পরের সাথে দু-দণ্ড জলের মতো মিশে সেই এক ভোরবেলা শতাব্দীর সূর্যের নিকটে আমাদের জীবনের আলোড়ন— হয়তো বা জীবনকে শিখে নিতে চেয়েছিলো । অন্য এক অণকাশের মতো চোখ নিয়ে আমরা হেসেছি, আমরা খেলেছি ; স্মরণীয় উত্তরাধিকারে কোনো গ্লানি নেই ভেবে একদিন ভালোবেসে গেছি। সেই সব রীতি আজ মৃতের চোখের মতে তবু— তারার অালোর দিকে চেয়ে নিরালোক । হেমত্তের প্রাস্তরের তারার অালোক । সেই জের টেনে অণজো খেলি । সূর্যালোক নেই—তবু— সূর্যালোক মনোরম মনে হ’লে হাসি । স্বতই বিমর্ষ হয়ে উদ্র সাধারণ চেয়ে দ্যাখে তবু সেই বিষাদের চেয়ে আরো বেশি কালো-কালো ছায়া লঙ্গরখানার অন্ন খেয়ে মধ্যবিত্ত মানুষের বেদনার নিরাশার হিসেব ডিঙিয়ে নর্দমার থেকে শূন্য ওভারব্রিজে উঠে নর্দমায় নেমে— ফুটপাত থেকে দূর নিরুত্তর ফুটপাতে গিয়ে নক্ষত্রের জ্যোৎস্নায় ঘুমাতে বা ম’রে যেতে জানে । 8S