পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b. এই দিকে ঋণ, রক্ত, লোকসান, ইতর, খাতক ; কিছু নেই—তবুও অপেক্ষাতুর ; হৃদয়স্পন্দন অাছে—তাই অহরহ বিপদের দিকে অগ্রসর ; পাতালের মতে দেশ পিছে ফেলে রেখে নরকের মতন শহরে কিছু চায় ; কী যে চায় । যেন কেউ দেখেছিলো খণ্ডাকাশ যতবার পরিপূর্ণ নীলিমা হয়েছে, যতবার রাত্রির অণকাশ ঘিরে স্মরণীয় নক্ষত্র এসেছে. অণর তাহণদের মতো নরনারী যতবার তেমন জীবন চেয়েছিলো, যত নীলকণ্ঠ পাখি উডে গেছে রৌদ্রের আকাশে, নদীর ও নগরীর মানুষের প্রতিশ্রুতিব পথে যত নিরুপম সূর্যালোকে জ্ব’লে গেছে—তার ঋণ শোধ ক’রে দিতে গিয়ে এই অনন্ত রৌদ্রের অন্ধকার । মানবের অভিজ্ঞতা এ-রকম । অভিজ্ঞতা বেশি ভালো হ’লে তবু ভয় পেতে হ’তো ? মৃত্যু তবে ব্যসনের মতো মনে ক’তো ? এখন ব্যসন কিছু নেই । সকলেই আজ এই বিকেলের পরে এক তিমির রাত্রির সমুদ্রের যাত্রীর মতন ভালো-ভালো নাবিক ও জাহাজের দিগন্তর খুঁজে পৃথিবীর ভিন্ন-ভিন্ন নেশনের নিঃসহায় প্রতিভূর মতো পরম্পরকে বলে, “হে নাবিক, হে নাবিক তুমি— সমুদ্র এমন সাধু, নীল হ’য়ে– তবুও মহান মরুভূমি ; অণমরাও কেউ নই– ' তাহীদের শ্রেণী যোনি ঋণ রক্ত রিরংস ও ফঁাকি