পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হবে না কি মানবকে চিনে—তবু প্রতিটি ব্যক্তির ষাট বসন্তের তরে সেই সব সুনিবিড় উদ্বোধনে—‘অাছে আছে’ এই বোধির ভিতরে চলেছে নক্ষত্র, রাত্রি, সিন্ধু রীতি, মানুষের বিষয় হৃদয় ; জয় অস্তসূর্য, জয় অলখ অরুণোদয়, জয় । লোকসামান্ত অন্ধভাবে অালোকিত হয়েছিলেন তার জীবনের সাগরে-সাগরে ঃ বঙ্গোপসাগরে, চীনের সমুদ্রে—দ্বীপপুঞ্জের সাগরে । নিজের মৎসর নিয়ে নিশানের পরে সূর্য একে চোখ মেরেছিল তার নীলিমার সূর্যের দিকে । তণ রণ সব আজ রাতে বিলেগ ডিত জৰ্ণ হাজের খোল সাগর কীটের মৃত শরীরের আলেয়ার মতে। সময়ের দোলা খেয়ে নড়ে ; ‘এশিয়া কি এশিয়াবণসীর কোপ্রসপেরিটির সূর্যদেবীর নিজ প্রতীতির তরে ? ব’লে সে পুরোনো যুগ শেষ হ’য়ে যায় । কোথাও নতুন দিন আসে ; কে জানে সেখানে সৎ নবীনতা র’য়ে গেছে কিনা ; সূর্যের চেয়েও বেশী বালির উত্তাপে বহুকাল কেটে গেছে বহুতর শ্লোগানের পাপে । এ-রকম ইতিহাসে উৎস রক্ত হ’য়ে এই নব উত্তরাধিকারে স্বৰ্গতি না হোক—তবু মানুষের চরিত্র সংহত হয় না কি ? ভাবনা ব্যাহত হ’য়ে বেড়ে যায় – স্থির হয় না কি ? হে সাগর সময়ের, & S