পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখিনি তার মুখখানি তো,— পাইনি তারে টের, জানিনি হায় আমার বুকে আশেক,—অসীমের জেগে অাছে জনম-ভোরের সূতিকাগার থেকে ! কত নতুন শরাবশালায় নাবনু একে একে । সরাইখানার দিল্পিয়ালায় মাতি’ কাটিয়ে দিলাম কত খুশীর রাতি । জীবন-বীণার তারে তারে আগুন-ছড়ি টানি’ গুলজরিয়া এল গেল কত গানের রাণী,— নাসপাতিগাল গলে রাখি’ কানে-কানে ক’রলে কণনা কানি শরণব-নেশায় রাঙিয়ে দিল আঁখি । —ফুলের ফাগে বেহু শত হোলি নাকি ! হঠাৎ কখন স্বপন ফানুষ কোথায় গেল উডে । —জীবন-মরু-মরীচিকার পিছে ঘুরে ঘুরে’ ঘায়েল হ’য়ে ফিরুল আমার বুকের কেরাভেন,— অণকণশ-চরা শ্যেন । মরু ঝড়ের হাহাকারে মৃগতৃষার লাগি প্রাণ যে তাহার রইল তবু জাগি ইবুলিশেরি সঙ্গে তা হার লড়াই হোলো সুরু ! দরাজ বুকে দিল যে উডু উডু ! —ধূসর ধুধু দিগন্তরে হারিয়ে যাওয়া নার্গিসেরি শোভা থরে-থরে উঠলো ফুটে রঙীন—মনোলোভা । অলীক আশার,—দূর-দূরাশার দুয়ার ভাঙার তরে যৌবন মোব উঠলে নেচে রক্তমুঠি,—ঝড়ের বু'টির পরে ! পিছে ফেলে’ টিকে থাকার ফাটক-কারাগার, ভেঙে শিকল,—ধ্বসিয়ে ফাড়ির দ্বার চল্ল সে যে ছুটে ! শৃঙ্খল কে বাধল তাহার পায়ে,— চুলের বু'টি ধরল কে তার মুঠে ! বর্শ আমার উঠলে ক্ষেপে’ খুনে, b@