পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলেয়া প্রশস্তরের পারে তব তিমিরের খেয়া নীরবে যেতেছে তুলে’ নিদলি আলেয়া! —-হেথা, গৃহ-বণতায়নে নিভে গেছে প্রদীপের শিখ, ঘোমটার আঁখি বেরি’ রাত্রি-কুমরিকা চুপে চুপে চলিতেছে বনপথ ধরি’ । আকাশের বুকে-বুকে কাহাদের মেঘের গাগরী ডুবে যায় ধীরে ধীরে আঁধার-সাগরে । ঢুলু-ঢুলু তারকার নয়নের পরে নিশি নেমে আসে গাঢ়,—স্বপন-সস্কুল ! শেহালায় ঢাকা খাম বালুকার কূল বনমরালীর সাথে ঘুমায়েছে কবে । বেণুবন শাখে কোন পেচকের রবে চমকিছে নিরালা যামিনী ! পাতাল-নিলয় ছাড়ি কে নাগ-কামিনী আঁকাবাকা গিরিপথে চলিয়াছে চিত্র অভিসারিকার প্রায় ! শ্মশান-শয্যায় নেভ’-নেভ’ কোন চিতা-ফুলিঙ্গেরে ঘিরে ক্ষুধিত আঁধার আসি জমিতেছে ধীরে । নিদ্রার দেউলমূলে চোখ দুটি মুদে’ স্বপ্নের বুদবুদে বিলসিছে যবে ক্লান্ত লুমন্তের দল— হে অনল-উন্মুখ, চঞ্চল উন্নমিত আঁখি দুটি মেলি’ সন্তরি’ চলিছ তুমি রাত্রির কুহেলি কোন দূর কামনার পানে ! ঝলমল দিবা অবসানে বধির আঁধারে কান্ত গরের দ্বগরে b:Տ