পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন রাজনন্দিনীর ঠোঁটে আমি এঁকেছিন্ন বর্বর চুম্বন। অন্দরে পশিয়াছিনু অবেলার ঝড়ের মতন । তখন রতনশেজে গিয়েছিল নিভে মধুরাতি । নীল জানালার পাশে-ভাঙ্গণহণটে—চাদের বেসাতি । চুপে চুপে মুখে কার পড়েছিন্ন ঝুকে । ব্যাধের মতন আমি টেনেছিনু বুকে কোন ভীরু কপোতীর উডু-উডু ডান । —কালো মেঘে কেঁদেছিল অস্তচাদ–আলোর মোহান ! বাংলার মাঠে ঘাটে ফিরেছিনু বেণু হাতে একা, গঙ্গার তীরে কবে কার সাথে হ'য়েছিল দেখা । ‘ফুলটি ফুটিলে চাদিনী উঠিলে এমনি রূপালি রাতে কদমতলায় দাড়াতাম গিয়ে বঁাশের বঁাশীটি হাতে । অপরাজিতার ঝাড়ে—নদীপাড়ে কিশোর লুকায়ে বুঝি’ — মদনমোহন নয়ন আমার পেয়েছিল তারে খুঁজি’ ! তারি লাগি বেঁধেছিন্ন বাকা চুলে ময়ূরপাখার চূড়া, তাহারি লাগিয়া শুড়ি সেজেছিন্ন,-ঢেলে দিয়েছিনু সুরা। তাহারি নধর অধর নিঙাডি’ উথলিল বুকে মধু, জোনাকীর সাথে ভেসে শেষরাতে দাড়াতাম দোরে বঁধু । মনে পড়ে কি তা!—চাদ জানে যাহা,—জানে যা কৃষ্ণাতিথির শশী, বুকের আগুনে খুন চড়ে,—মুখ চূণ হ’য়ে যায় একেলা বসি । እ©