পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ব’লে গেছে,—নগ্ন হাত,–নাই শাখা,—হারায়েছে রুলি, এলোমেলো কালো চুল খসে গেছে খোপা তার,—বেণী গেছে খুলি । সাপিনীর মত বাকা আঙুলে ফুটেছে তার কঙ্কালের রূপ, ভেঙেছে নাকের ডাশা,—হিমস্তন,—হিম রোমকূপ । আমি দেখিয়াছি তারে, ক্ষুধিত প্রেতের মত চুমিয়াছি আমি তারি পেয়ালায় হায় !—পৃথিবীর উষা ছেড়ে’ আসিয়াছি নামি" কাস্তারে ;–ঘুমের ভিড়ে বাধিয়াছি দেউলিয়া বাউলের ঘর, আমি দেখিয়াছি ছায়া,—শুনিয়াছি একাকিনী কুহকীর স্বর ! বুকে মোর, কোলে মোর-কঙ্কালের কাকালের চুমা ! —গঙ্গার তরঙ্গ কানে গায়,—"ঘুমা,—ঘুমা ! ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল,— ডালিম ফুলের মত ঠোট যার,—রাঙা আপেলের মত লাল যার গাল, চুল যার শাঙনের মেঘ, আর আঁখি গোধূলির মত গোলাপী রঙীন ; আমি দেখিয়াছি তারে ঘুমপথে,—স্বপ্নে,--কতদিন । কবি ভ্রমরীর মত চুপে সৃজনের ছায়াধূপে ঘুরে মরে মন অামি নিদালির আঁখি, নেশাখোর চোখের স্বপন ! নিরালায় সুর সাধি,—বাধি মোর মানসীর বেণী, মানুষ দেখে নি মোরে কোনোদিন,—আমারে চেনে নি । কোনো ভিড় কোনোদিন দাড়ায় নি মোর চারিপাশে,— শুধীয় নি কেহ কভু –‘আসে কিরে,- সে কি আসে—আসে । আসেনি সে ভরাহাটে-খেয়াঘাটে—পৃথিবীর পসরার মাঝে, পাটনী দেখেনি তারে কোনো দিন,—মাঝি তারে ডাকেনিক সাঝে ! পারাপার করে নি সে মণিরত্ন-বেসাতির সিন্ধুর সীমানা,— চেনা চেনা মুখ সবই,—সে যে শুধু সুদুর—অজানা ! করবীকুড়ির পানে চোখ তার সারাদিন চেয়ে আছে চুপে, রূপ-সাগরের মাঝে কোন দূর গোধূলির সে যে আছে ডুবে । সে যেন ঘাসের বুকে,—ঝিলমিল শিশিরের জলে ; খুঁজে তারে পাওয়া যাবে এলোমেলো বেদিয়ার দলে, ১৭ सौवनांनन (२ब्र)-१