পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাগেনি সর্দের আরো একবার তোমার মাখের থেকে ফিরে যখন দেখেছি ঘাস ঢেউ রোদ মিশে আছে তোমার শরীরে । একরাশ পঞ্জি তখন অনেক দিন হয়ে গেছে—চলে গেছি পথিবীর থেকে ; হয়তো ভাবিবে তুমি একদিন ঃ ভুলেছি কি—তারে গেছি ভুলে কেন, আহা !’ আঙলৈ ঠোঁটের পরে রেখে দিয়ে চুপে চোখ তুলে ব্যথা পাবে একবার—সারারাত টেবিলের পরে মুখ ঢেকে রবে তুমি—অনেক অনেক দিন-রাত কেটে যাবে একে-একে । ব্যথা নিয়ে ; ভূত তব আসে নাকে ; কে তারে ঘাসের থেকে খালে ছেড়ে দেবে । ভূত নাই ; ঘাসেও সে থাকে নাকো—তাই ক্লান্ত চলে বিননি রিবন বেধে—একরাশ পথিবীরে লবে তুমি ডেকে ডেকে লবে কাছে তুমি ইহাদের ঃ বাগানের ক্যানাফুল—আলো জামরুল মৌমাছি—বিড়ালের ছানাগলো—শাদা-শাদা ছানা ন্যাটাফল আতা ক্ষীর—কমলা রঙের শাল—এক ডিম উল নতুন বইয়ের পাতা কবিতার যেইখানে সহজে ফুরালো পরোনোরা ; যেইখানে শেষ হলো আমাদের শেষ ধয়া টানা ঃ তারপর যেই সত্য স্বপ্ন এসে খড়ে গেল আমাদের ভুল । তোমাদের দেখেছি, কেন ব্যথা পাবে তুমি ? কোনোদিন বেদনা কি দিয়েছি হৃদয়ে যতদিন পথিবীতে তোমার আমার সাথে হয়েছিলো দেখা, তারপর আমি চলে গেলে পরে মনে করো যদি খুব একা একা হয়ে গেছ তুমি—ভাব যদি কোথায় সে ঘাসের আশ্রয়ে চ'লে গেল—ভালোবেসে, মৃত্যু পেয়ে ; এই ব্যথা ভয়ে জেগে থাক যদি তুমি অন্ধকারে—সেজো নাকো ব্যথার রেবেকা ; তুমি প্রেম দাও নাই—জানি আমি—তবুও রপ্তান্ত কোনো রেখা সোনার ভাঁড়ারে অামি রাখি নাই শীত মধ্য মোমের সঞ্চয়ে, কুয়াশা হতাশা নিয়ে স’রে আমি আসি নাই পথিবীর থেকে,— তোমারে দেখেছি আমি পৃথিবীতে—নতুন নক্ষত্র আমি ঢের আকাশে দেখেছি তাই—তোমারে দেখেছে ভালোবেসেছে অনেকে তাহাদের সাথে আমি-আমিও বিসময় এক পেয়েছি যে টের গভীর বিস্ময় এক শধে তার মান হাত—চুল চোখ দেখে ! কুয়াশা হতাশা নিয়ে সরে আমি আসি নাই পথিবীর থেকে। Տ00