পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যত দর চোখ যায় কালো আকাশ মাটির শেষ তরঙ্গকে কোলে ক'রে চুপ ক’রে রয়েছে যেন ; . নিস্তবধ হ’য়ে দীর উপসাগরের ধ্বনি শনছে । মনে হয় কারা যেন বড়ো-বড়ো কপাট খলছে, বন্ধ ক'রে ফেলেছে আবার ; কোন দর—নীরবশ-আকাশরেখার সীমানায়। বালিশে মাথা রেখে যারা ঘুমিয়ে আছে তারা ঘুমিয়ে থাকে ; কাল ভোরে জাগবার জন্য । যে-সব ধসের হাসি, গল্প, প্রেম, মুখরেখা পথিবীর পাথরে কংকালে অন্ধকারে মিশেছিলো ধীরে-ধীরে জেগে ওঠে তারা ; পথিবীর অবিচলিত পঞ্জর থেকে খশিয়ে আমাকে খ:জে বা’র করে। সমস্ত বঙ্গোপসাগরের উচ্ছাস থেমে যায় যেন ; মাইলের পর মাইল মত্তিকা নীরব হয়ে থাকে । কে যেন বলে ঃ আমি যদি সেই সব কপাট পশ-করতে পারতাম তাহলে এই রকম গভীর নিস্তবধ রাতে পশ করতাম গিয়ে — আমার কাঁধের উপর ঝাপসা হাত রেখে ধীরে-ধীরে আমাকে জাগিয়ে দিয়ে ! চোখ তুলে আমি দুই স্তর অন্ধকারের ভিতর ধসের মেঘের মতো প্রবেশ করলাম ঃ সেই মুখের ভিতর প্রবেশ করলাম ! মুকুত আকাশে জ্যোৎস্না—বনের পথে চিতাবাঘের গায়ের ব্ৰাণ ; হৃদয় আমার হরিণ যেন ; রারির এই নীরবতার ভিতর কোন দিকে চলেছি ! রপোলি পাতার ছায়া আমার শরীরে, কোথাও কোনো হরিণ নেই আর ; যত দরে যাই কাস্তের বাঁকা চাঁদ শেষ সোনালি হরিণ-শস্য কেটে নিয়েছে যেন ; তারপর ধীরে-ধীরে ডুবে যাচ্ছে শত-শত মগীদের চোখের ঘামের অন্ধকারের ভিতর ! SO4