পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंङ्ङ्ग হৃদয়, অনেক বড়ো-বড়ো শহর দেখেছো তুমি ; সেই সব শহরের ইটপাথর, কথা, কাজ, আশা, নিরাশার ভয়াবহ হাত চক্ষ আমার মনের বিসবাদের ভিতর পড়ে ছাই হয়ে গেছে । কিন্তু তবুও শহরের বিপুল মেঘের কিনারে সন্য উঠতে দেখেছি ; বন্দরের নদীর ওপারে সযকে দেখেছি মেঘের কমলারঙের ক্ষেতের ভিতর প্রণয়ী চাষার মতো 巧需 রয়েছে তার ; শহরের গ্যাসের অালো ও উচু-উ"চু মিনারের ওপরেও দেখেছি, নক্ষত্রেরা— অজস্র বনো হাঁসের মতো কোন দক্ষিণ সমুদ্রের দিকে উড়ে চলেছে ! শব যেখানে রপোলি জ্যোৎস্না ভিজিতেছে শরের ভিতর, যেখানে অনেক মশা বানায়েছে তাহাদের ঘর ; যেখানে সোনালি মাছ খটে-খটে খায় । সেই সব নীল মশা মৌন আকাঙ্ক্ষায় ; নিজ ন মাছের রঙে যেইখানে হ’য়ে আছে চুপ পথিবীর একপাশে একাকী নদীর গাঢ় রপে ; কান্তারের একপাশে যে-নদীর জল বাবলা হোগলা কাশে শয়ে-শয়ে দেখিছে কেবল বিকেলের লাল মেঘ ; নক্ষত্রের রাতের অাঁধারে বিরাট নীলাভ খোঁপা নিয়ে যেন নারী মাথা নাড়ে পথিবীর অন্য নদী ; কিন্তু এই নদী রাঙা মেঘ—হলুদ-হলুদ জ্যোৎস্না ; চেয়ে দ্যাখো যদি ; অন্য সব আলো আর অন্ধকার এখানে ফুরালো ; লাল নীল মাছ মেঘ-—মান নীল জ্যোৎস্নার আলো । এইখানে ; এইখানে মণালিনী ঘোষালের শব ভাসিতেছে চিরদিন ঃ নীল লাল রপোলি নীরব । 장) পান্ডুলিপি কাছে রেখে ধসের দীপের কাছে আমি নিস্তবধ ছিলাম ব’সে ; শিশির পড়িতেছিল ধীরে-ধীরে খসে ; নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি উড়ে গেলো কুয়াশায়, –কুয়াশার থেকে দর-কুয়াশায় আরো তাহারি পাখার হাওয়া.প্রদীপ নিভায়ে গেলো বুঝি ?

  • C&