পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহ হংকার করে উঠছে ঃ সাকাকের ব্যথিত সিংহ, স্থবির সিংহ এক—আফিমের সিংহ-অন্ধ—অন্ধকার ! চারদিককার আবছায়া-সমাদের ভিতর জীবনকে স্মরণ করতে গিয়ে মত মাছের পচ্ছের শৈবালে, অন্ধকার জলে কুয়াশার পঞ্জরে হারিয়ে যায় সব । সিংহ অরণ্যকে পাবে না আর পাবে না অার পাবে না আর । কোকিলের গান বিবণ এঞ্জিনের মতো খ'শে-খ’শে চুsধক পাহাড়ে নিস্তবধ । হে পথিবী, হে বিপাশামদির নাগপাশ,—তুমি পাশ ফিরে শোও, কোনোদিন কিছল খুজে পাবে না আর । আদিম দেবতারা আগুন বাতাস জল ঃ ‘আদিম দেবতারা তাদের সপি'ল পরিহাসে তোমাকে দিলো রপে—কী ভয়াভয় নিজন রপে তোমাকে দিলো তারা ; তোমার সংস্পশের মানুষদের রক্তে দিলো মাছির মত কামনা । আগন বাতাস জল ঃ আদিম দেবতারা তাদের বঙ্কিম পরিহাসে আমাকে দিলো লিপি রচনা করবার আবেগ ঃ যেন আমিও আগুন বাতাস জল, যেন তোমাকেও সন্টি করছি । তোমার মুখের রপে যেন রক্ত নয়, মাংস নয়, কামনা নয়, নিশীথ-দেবদার -দ্বীপ ; কোনো দর নিজন লীলাভ দ্বীপ ; স্থলে হাতে ব্যবহৃত হয়ে তবল তুমি মাটির পথিবীতে হারিয়ে যাচ্ছো ; আমি হারিয়ে যাচ্ছি সদর দ্বীপের নক্ষত্রের ছায়ার ভিতর । আগন বাতাস জল ঃ আদিম দেবতারা তাদের বঙ্কিম পরিহাসে রপের বীজ ছড়িয়ে চলে পথিবীতে, ছড়িয়ে চলে স্বপ্নের বীজ । పిపిపి