পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবাক হ’য়ে ভাবি, আজ রাতে কোথায় তুমি ? . f রপে কেন নিজন দেবদার -দ্বীপের নক্ষত্রের ছায়া চেনে না— · পথিবীর সেই মানুষের রুপ ? : , * স্থলে হাতে ব্যবহৃত হয়ে—ব্যবহৃত—ব্যবহৃত—ব্যবহৃত—ব্যবহৃত হয়ে ব্যবহৃত—ব্যবহৃত— আগন বাতাস জল আদিম দেবতারা হো-হো করে হেসে উঠলো “ব্যবহৃত—ব্যবহৃত হ’য়ে শয়োরের মাংস হ’য়ে যায় ? হো-হো ক’রে হেসে উঠলাম আমি ! 'ኳ I চারদিককার অট্টহাসির ভিতর একটা বিরাট তিমির মতদেহ নিয়ে অন্ধকার সমুদ্র সফীত হয়ে উঠলো যেন ; , s পথিবীর সমস্ত রপে অমেয় তিমির মতদেহের দােগন্ধের মতো, যেখানেই যাই অামি সেই সব সমুদ্রের উলুকায়-উল্কায় কেমন সবাভাবিক, কী সবাভাবিক । স্থৰির যৌবন তারপর একদিন উক্তজবল মৃত্যুর দত এসে কহিবে ঃ তোমারে চাই—তোমারেই, নারী ; এই সব সোনা রপো মশলিন যাবাদের ছাড়ি চ’লে যেতে হবে দর-আবিস্কারে ভেসে । বলিলাম ;—শুনিল সে ঃ “তুমি তব মৃত্যুর দতে নও—তুমি—” ‘নগর-বন্দর ঢের খ:জিয়াছি আমি ; তারপর তোমার এ-জানলায় থামি ধোঁয়া সব ;–তুমি যেন মরীচিকা—আমি মরুভূমি—’ শীতের বাতাস নাকে চলে গেলো জানালার:দিকে, পড়িল অভ্যাধেক শাল বুক থেকে খ’শে । সুন্দর জন্তুর মতো তার দেহকোষে রক্ত শ:ধ ? দেহ শন্ধ ? শুধু হরিণীকে বাঘের বিক্ষোভ নিয়ে নদীর কেনারে—নিম্নে—রাতে ? তবে তুমি ফিরে যাও ধোঁয়ায় আবার ; উক্তজবল মাতু্যর দতে বিবণ এবার— বরং নারীকে ছেড়ে কণ্ডকালের হাতে তোমারে তুলিয়া লবে কুয়াশা-ঘোড়ায় । তুমি এই পৃথিবীর অনাদি স্থবির ;– সোনালি মাছের মতো তব করে ভিড় 9১২