পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেন এত দিনের বীজগণিত কিছ নয়, যেন নতুন বীজগণিত নিয়ে এসেছে আকাশ ! বাংলার পাড়াগাঁয়ে শীতের জ্যোৎস্নায় আমি কত বার দেখলাম কত বালিকাকে নিয়ে গেলো বাঘ–জঙ্গলের অন্ধকারে । কতবার হাটেনটট-জল দম্পতির প্রেমের কথাবাতরি ভিতর আফ্রিকার সিংহকে লাফিয়ে পড়তে দেখলাম ; কিন্তু সেই সব মড়তার দিন নেই আর সিংহদের ; নীলিমার থেকে সমুদ্রের থেকে উঠে এসে পরিস্ফুট রোদের ভিতর উজ্জবল দেহ অদশ্য রাখে তারা ; শাদা, হলদে, লাল, কালো মানুষদের অার-কোনো শেষ বক্তব্য অাছে কি না জিজ্ঞাসা করে ! যে-ঘোড়ায় চড়ে আমরা অতীত-ঋষিদের সঙ্গে আকাশে নক্ষত্রে উড়ে যাবো সেই সব শাদা-শাদা ঘোড়ার ভিড় যেন কোন জ্যোৎস্নার নদীকে ঘিরে নিস্তবধ হ’য়ে অপেক্ষা করছে কোথাও ; আমার হৃদয়ের ভিতর সেই সপেক্ক রাত্রির গন্ধ পাই অামি । ফুটপাথে অনেক রাত হয়েছে—অনেক গভীর রাত হয়েছে ; 劃 কলকাতার ফুটপাথ থেকে ফুটপাথে—ফুটপাত থেকে ফুটপাথে— কয়েকটি আদিম সপিণী সহোদরার মতো এই-যে ট্রামের লাইন ছড়িয়ে আছে পায়ের তলে, সমস্ত শরীরের রক্তে এদের বিষাক্ত বিসবাদ পশ* অনুভব ক’রে হাটছি আমি গড়ি-গড়ি ব্যটি পড়ছে, কেমন যেন ঠান্ডা বাতাস ; কোন দরে সবুজ ঘাসের দেশ নদী জোনাকির কথা মনে পড়ে আমার,তারা কোথায় ? তারা কি হারিয়ে গেছে ? পায়ের তলে লিকলিকে ট্রামের লাইন,—মাথার ওপরে f অসংখ্য জটিল তারের জাল শাসন করছে আমাকে । - গড়ি-গড়ি ব্যষ্টি গল্প, কেমন যেন ঠান্ডা বাতাস ; SSతి