পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাথরের চেয়ে প্রাচীন ইচ্ছা মানুষের মনে গড়ে । অথবা চীনের প্রাচীরের ভুল-চেনেনি নিজের হাল কিংবা জালায়ে গিয়েছে হয়তো অনেক বিগত কাল ; অগ্নিঘোড়ার খরে যে পরায় জলের মতন নাল জানে না সে কিছ--তব তারে জেনে সযে আজিকে জলে ;– ববিনে জড়ানো মিশরের ম্যমি কালো বিড়ালকে বলে । পরিচায়ক মাঝে-মাঝে মনে হয় এ-জীবন হংসীর মতন— হয়তো-বা কোনো-এক কৃপণের ঘরে ; প্রভাতে সোনার ডিম রেখে যায় খড়ের ভিতরে ; পরিচিত বিসময়ের অনুভবে ক্ৰমে-ক্ৰমে দঢ় হয় গহন্থের মন. তাই সে হংসীরে আর চায় নাকো দপুরে নদীর ঢাল জলে নিজেকে বিসিমত ক'রে,—ক্ৰমে দরে—দরে হয়তো-বা মিশে যাবে অশিষ্ট মুকুরে ঃ ছবির বইয়ের দেশে চিরকাল—ক্লর মায়াবীর জাদুবলে । তবুও হংসাঁই আভা,—হয়তো-বা পতঞ্জলি জানে । সোনায়-নিটোল-করা ডিম আর বিমষ প্রসব । দপুরে সংযের পানে বঞ্জের মতন কলরব কন্ঠে তুলে ভেসে যায় অমেয় জনের অভিযানে । কেয়াফুলস্নিগধ হাওয়া স্থির তুলাদণ্ড প্রদক্ষিণ ক’রে যায় ;— লোকসমাগমহীন, হিম কান্তারের পার ক'রে নাকো ভীত আর মরণের অথ* প্রত্যাহার ঃ তবুও হংসীর পাখা তুষারের কোলাহলে অাঁধারে উত্তীন । তবুও হংসীর প্রিয় আলোকসামান্য সর, শান্যতার থেকে আমি ফে'শে এইখানে প্রান্তরের অন্ধকারে দাঁড়িয়েছি এসে ; মধ্য নিশীথের এই আসন্ন তারকাদের সঙ্গ ভালোবেসে । মরখটে ঘোড়া ওই ঘাস খায়,– ঘাড়ে তার ঘায়ের উপরে বিনবিনে ডাঁশগুলো শিশিরের মতো শব্দ করে । এই স্থান, হ্রদ আর, বরফের মতো শাদা ঘোড়াদের তরে ছিলো তব একদিন ? রবে তব একদিন ? হে কালপয়েষে ধ্রুব, স্বাতী, শতভিষা উচ্ছঙ্খল প্রবাহের মতো যারা তাহাদের দিশা স্থির করে কর্ণধার ?-ভূতকে নিরস্ত করে প্রশান্ত সরিষা। ভূপষ্ঠের অই দিকে—জানি আমি—আমার নতুন ব্যাবিলন ఏఏb