পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এরাও মহৎ—তব মানুষের মহাপ্রতিভার মতো নয় । আজ এই শতাব্দীতে পুনরায় সেই সব ভাস্বর আগন কার ক’রে যায় যদি মানুষ ও মনীষী ও বৈহাসিক নিয়ে – সময়ের ইশারায় অগণন ছায়া-সৈনিকেরা আগানের দেয়ালকে প্রতিষ্ঠিত করে যদি উননের অতলে দাঁড়িয়ে, দেয়ালের পরে যদি বানর, শেয়াল, শনি, শকুনের ছায়ার জীবন জীবনকে টিটকারি দিয়ে যায় আগমনের রঙ আরো বিভাসিত হ’লে – গভঙ্কে ও অণ্ডেক কান কেটে-কেটে নাটকের হয় তব শ্রীতিবিশোধন । এক বিভিন্ন কোরাগ আমাদের হৃদয়ের নদীর উপর দিয়ে ধীরে এখনো যেতেছে চ'লে কয়েকটি শাদা রাজহাঁস ; সহধমিণীর সাথে ঢের দিন—আরো টের দিন করেছি শান্তিতে বসবাস ; দেখেছি সন্তানদের ময়দানে আলোর ভিতরে সবতই ছড়ায়ে অাছে—যেমন গনেছি টায়-টায় ; অদ্ভূত ভিড়ের দিকে চেয়ে থেকে দেখে গেছি জনতার মাথা গহদেবতাকে দেখে শঙ্গ শিলায় । নগরীর পিতামহদের ছবি দেয়ালে টাঙায়ে— টাঙায়েছি নগরীর পিতাদের ছবি ; পরিক্রমণে গিয়ে সব দাই আমাদের বড়ো নগরীতে যাহাতে অমত হয় সে-রকম অথ, বাচক্লবী, প্রকাশে প্রয়াস পেয়ে গেছি মনে হয় ; আমাদের নেয় যাহা নিয়ে গেছি তুলে ; নটে গাছ মনুড়ে গেছে ব’লে মনে হয় অামাদের বক্তব্য ফুরলে । আবার সবুজ হ’য়ে জড়ায়ে গিয়েছে আমাদের সন্তানের -- সন্তানের প্রয়োজন মতো । এ-রকম চক্লাকারে ঘরে গিয়ে কাল সহসা খি'চড়ে উঠে উচ্চরের মতন ফলত অন্য-কোনো জ্যামিতিক রেখা হ’তে পারে; ১২১