পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধকার সংস্কার হাংড়ায়ে, মদনভাবে হেসে ; জীথে"-তীথে" বারবার পরীক্ষিত হ’য়ে পরিচয় বিবণ জ্ঞানের রাজ্যে কাগজের ডাইয়ে পড়ে আছে ; আমাদের সন্ততিও আমাদের হৃদয়ের নয় । আমরা মধ্যম পথে বিকেলের ছায়ায় রয়েছি একটি পৃথিবী নন্ট হ’য়ে গেছে আমাদের অাগে ; আরেকটি পৃথিবীর দাবি স্থির ক’রে নিতে হ’লে লাগে সকালের আকাশের মতন বয়স ; সে-সকাল কখনো আসে না ঘোর, সবধমনিষ্ঠ রাত্রি বিনে । পশ্চিমে অস্তের সষে ধুলিকণা, জীবাণুর উতরোল মহিমা রটারে পৃথিবীকে রেখে যায় মানবের কাছে জনমানবের ঋণে । তিন সারাদিন ধানের বা কাস্তের শব্দ শোনা যায় । ধীর পদবিক্ষেপে কৃষকেরা হাঁটে । তাদের ছায়ার মতো শরীরের ফু"য়ে শতাব্দীর ঘোর কাটে-কাটে । মাঝে-মাঝে দু-চারটে প্লেন চ’লে যায় । একভিড় হরিয়াল পাখি উড়ে গেলে মনে হয়, দুই পায়ে হে"টে কত দরে যেতে পারে মানুষ একাকী ! এ-সব ধারণা তব মনের লঘতা । আকাশে রক্তিম হ’য়ে গেছে ; কামানের থেকে নয়, আজো এইখানে প্রকৃতি রয়েছে । রাত্রি তার অন্ধকার ঘমোবার পথে আবার কুড়ায়ে পায় এক পৃথিবীর মেয়ে, ছেলে ; মানুষ ও মনীষীর রৌদ্রের দিন হৃদয়বিহীনভাবে শন্য হ’য়ে গেলে । সেই রাত্রি এসে গেছে ? সপ্ততিরা জড়ায়ে গিয়েছে জ্ঞাতকুলশীল আর অজ্ঞাত ঋণে । ১২৩