পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পামাদের সচেতন তাড়নায় প্রাণ পেয়ে জেগেছে ফলত ;– চোখ ক্লান্ত হয় তবল নখের ভিতরে হিম, নিরক্তের দপণকে দেখে । তব সেই অপাথিবি সরে কেউ ভুলে যেতে পারে ? দই কানে মোম ঢেলে শুনিতে চাইনি যাহা মধ্যসমাদের অন্ধকারে আমাদের কাছে ছিলো সেদিন তা জানিবার সমদ্রের ওই পারে—কাম ; তাহারে এড়াতে গিয়ে করেছি অদ্ভুত প্রাণায়াম ;— যেমন প্রবীণ তার যৌবনের প্রেম ঢেকে রাখে চোখঠারে । এখানে হলুদ ঘাসে—ককিরের রাস্তায়—নোনাধরা দেয়ালের ঘরে হৃদয়ে গঞ্জনা এক জেগেছিলো বশিচকের মতন কামড়ে । এ-পথিবী পাক খায়,—তব্য কেউ কনয়ের পরে রাখে ভর . যেন স্পষ্ট সৌরজগতের এক সশঙ্খিল কেন্দ্রের ভিতর রয়েছে সে ;–অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড যেন সন্ধ্যার হাঁসের মতো ফিরে আসে ঘরে । ঘরের হরিণ পারে অনায়াসে চলে যেতে গহসেহর গোধমে মাড়িয়ে । সেই পথ থেকে তব স’রে গিয়ে অন্য-এক অহংকার নিয়ে কয়েকটি যত্নবা, নারী,—সমাহৃত হ’য়ে গিয়ে ছয়রির ফলায় এখানে বাটের দিকে চেয়েছিলো ;—কার যেন স্হির মাটি টের পাওয়া যায় ; যেন সব নাশপাতি পষ্ঠরণ হয় তার নিটোল ব্লেডের মুখে গিয়ে । জ জানি সমবায়ে উদয়ন, নাগাজনে, পল্পসেনী ছাড়া কী রয়েছে এই সব নাম ছাড়া ?—সুনিপুণ ভাবনার ধারা ক বুঝেছে সব নয় ?—জনতার হৃদয়ের ভীতি ধা নয়—সেবা চায় ;—তাই ভেঙে ধৰ’সে গেলো অমোঘ সমিতি ;– বীক্ষার উচ্চারণে রয় কি হাঁসের ডিম মাত্তিকায় খাড়া ? আকাশরেখার পারে তবুও যাহারা এই পথে এসে আবার দাঁড়াবে— প্রকল্পিত কলপাসের সচিমুখ খানিক স্হিরতা যেন পাবে তাদের ছোঁয়াচে এসে ;–যদিও পাথরগুলো হয়ে গেছে আবার প্রাচীন নিওলিথ পথিবীর ;–এই সব ঘাস, হরিতকী, সয' মনে হয় যেন প্লিওসিন হাড়গোড়ে পড়ে আছে নিরসত্তেজ মানুষের প্রেমের অভাবে । ঘাস মরণ তাহার দেহ কোঁচকায়ে ফেলে গেলো নদীটির পারে । সফেন আলোক তাকে চেটে গেলো দপুরবেলায় । সবুজ বাতাস এসে পথিবীতে যাহা কোঁচকায় তাহাকে নিটোল ক’রে নিতে গেলো নিজের সঞ্চারে । د (د